আগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে হারের পর শিরোপার লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে পড়েছে আবাহনী। তবে তার পরের ম্যাচেই যে এমন ভাবে জ্বলে উঠবে দলটি তা কেউ চিন্তাও করতে পারেনি। গতকাল ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে আজমপুর ফুটবল ক্লাবের জালে রীতিমতো গোল উত্সবই পালন করেছে আবহনী। ম্যাচে ৭-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছে ক্লাবটি। এছাড়া এদিন আবাহনীর হয়ে হ্যাটট্রিক করেছে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও এলিটা কিংসলে।
এদিন ম্যাচের বিরতির আগ অবদি কেউ ধারণাও করেনি যে, আবহনী আজমপুরের বিপক্ষে এত বড় ব্যবধানে জয় পাবে। কারণ প্রথম হাফের খেলায় আবহনী একটি মাত্র গোল দিতে পেরেছিল। তাও অনেক বাধা-বিপত্তির পর। প্রথমার্ধের ৩৫ মিনিটে বক্সের ভেতর পিটার নওরার কাটব্যাক থেকে প্রথম গোলটি করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে যেন খেলার চিত্র পুরো উলটে যায়। বিরতি থেকে ফিরে যেন দলটি আরো চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এতে আর পাত্তাই পায়নি আজমপুর। তাদের জালে একে একে আরো ছয়টি গোল করে আবহনীর খেলোয়াড়রা। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে রহমত মিয়ার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিংসলে। তার তিন মিনিট পরই নিজেরে দ্বিতীয় গোল করেন ফাহিম। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নেওয়ার পর দুই ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে পরাস্ত করে গোলটি করেন এ ট্রাইকার।
খেলার ৬১ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবনের ভাসানো বলে হেড দিয়ে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান কিংসলেও। এর কিছুক্ষণ পর জীবন নিজেই স্কোরশিটে নাম লেখান। ৬৪ মিনিটে বক্সের ভেতর ‘আনমার্ক’ অবস্থায় ছিলেন তিনি। তাই তো নওরার পাস থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড। ৭৯ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ফাহিম।
এছাড়া খেলা শেষ হওয়ার আগে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে আজমপুরের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এ ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ে বাঁ-পায়ের নিচু শটে বল জালে জড়ান কিংসলে। এতে করে শেষ অবধি কোনো গোল না হজম করে ৭-০ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আকাশী-নীলরা। এদিকে এ জয়ের পর লিগ তালিকায় বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৯ পয়েন্ট পেছনে আবহনী। ১০টি করে ম্যাচ খেলে কিংসের পয়েন্ট ৩০, আবাহনীর ২১। এছাড়া এক ম্যাচ কম খেলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।