কক্সবাজারে র্যাবের অভিযানে গণপরিবহনে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের প্রধানসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের রসিদ ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে সংগ্রহ করা ১০ হাজার ২০০ টাকা জব্দ করা হয়।
আটকরা হলেন- ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার মৃত আফতাব উদ্দিন সিকদারের ছেলে তাহের আহমেদ সিকদার (৫০), টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিজিবি চেকপোস্ট ২ নং ওয়ার্ডের মৃত ইসলামের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫), রামু উপজেলার ফতেকারকুল ৫ নং ওয়ার্ড হাইটুপি গ্রামের নিরঞ্জন বড়ুয়ার ছেলে সুজন বড়ুয়া (৪২), সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া ৪ নং ওয়ার্ডের আবু বক্করের ছেলে ওয়াবায়দুল করিম (৪০) ও চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার বড়মা ইউনিয়নের চরবড়মা গ্রামের মৃত গোলাম কাদেরের ছেলে শাহ জাহান (৪৮)।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব- ১৫- এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী। এর আগে, সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০টায় তাদেরকে চাঁদা আদায়ের রসিদ ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে সংগ্রহ করা ১০ হাজার ২০০ টাকাসহ চাঁদাবাজিকালে হাতেনাতে ধরা হয়।র্যাব-১৫ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক বলেন, অভিযুক্তরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে আসা যানবাহনের চালক-শ্রমিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০০ থেকে শুরু করে ১০০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত যার কাছ থেকে যা সম্ভব চাঁদা আদায় করতেন। এ ছাড়া তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি ও চাঁদা না দিলে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতেন। এভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি তারা জেলা পরিবহন খাতকে বিশৃঙ্খল করে তুলছিলেন।
র্যাব আরও জানায়, চাঁদাবাজ চক্রটির প্রধান তাহের আহমেদ সিকদার পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘসময় কারাগারে ছিলেন তিনি। মূলত কারাগার থেকে বেরিয়েই চাঁদাবাজ চক্রটি গড়ে তোলেন তাহের। এছাড়া বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলার আসামি তিনি।