হৃদরোগের সবচেয়ে বড় উপসর্গ হলো বুকে ব্যথা। তবে গুরুতর না হওয়া পর্যন্ত বুকে ব্যথার লক্ষন দেখা দেয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই ব্যথার সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্পর্ক আছে।
চিকিৎসকরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষার সাহায্যে হৃদরোগ শনাক্ত করেন, তবে তাতে অনেক টাকা খরচ হতে পারে। তবে হঠাৎ করেই কেউ এসব টেস্ট করান না, যতক্ষণ পর্যন্ত চিকিৎসক কোনো শারীরিক লক্ষণ দেখে এসব পরীক্ষা করার পরামর্শ না দেন।জানলে অবাক হবেন, হৃদরোগের কিছু লক্ষণ চোখেও দেখা দেয়। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের মতে, চোখ হৃৎপিণ্ডের আয়না। হৃৎপিণ্ডে কোনো সমস্যা হলে তার ছাপ পড়ে চোখে। চোখের কিছু পরিবর্তনের দিকে নজর দিলে সময়ের আগেই হৃদরোগ ধরা যায়।
রেটিনার পরিবর্তন
উচ্চ রক্তচাপের কারণে চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ উচ্চ রক্তচাপ রেটিনায় রক্ত সরবরাহকারী ক্ষুদ্র রক্তনালিগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে। পরবর্তী সময়ে সেগুলো ভেঙ্গে রেটিনায় রক্তপাত হতে পারে।
চোখের কোণে হলুদ বাম্প
কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি মারাত্মক আকার ধারণ করে। উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণও চোখে পড়তে পারে।হার্ভার্ড জানিয়েছে, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো বাজে আঠালো পদার্থের বৃদ্ধির কারণে চোখের কোণে হলুদ নরম আঁচিল দেখা দিতে পারে।
ছানি
ছানির কারণে চোখের লেন্স অনেকটা মেঘলা হয়ে যায়। ফলে দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণভাবে চলে যেতে পারে। এনসিবিআই এর এক গবেষণার তথ্য মতে, যাদের চোখে ছানি পড়েছে তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি খুব বেশি। এটি হৃদরোগের লক্ষণও হতে পারে।
ঝাপসা দৃষ্টি
হৃৎপিণ্ডের দিকে যাওয়া শিরায় ব্লকেজ থাকলে চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চোখ পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত ও অক্সিজেন পায় না ও কোষ মরতে শুরু করে। যার কারণে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
হার্ট ও চোখ সুস্থ রাখার টিপস
>> ধূমপান বন্ধ করুন।
>> ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।
>> হার্ট ও চোখের জন্য উপকারী খাবার খান।
>> নিয়মিত হার্ট পরীক্ষা ও চোখের চেকআপ করুন।