প্রতিপক্ষের জন্য স্পিনের ফাঁদ পেতে প্রথম দুই টেস্টেই সফল হয়েছে স্বাগতিক ভারত। দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিন ভেলকিতে দুই টেস্টেই জিতে চার টেস্টের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেছে রোহিত শর্মার দল। ইন্দোরে চলমান তৃতীয় টেস্টে জিতলেই বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজটা জিতে যাবে তারা। কিন্তু জয়ের ভাবনা পরের কথা, ইন্দোর টেস্টের প্রথম দিন শেষে ভারতের ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার জন্য বিছানো জালে নিজেরাই ফেঁসেছে ভারত। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিত শর্মার দল অলআউট হয়েছে মাত্র ১০৯ রানে!
উইকেটে টিকতে পেরেছে মাত্র ৩৩.২ ওভার। ওভারের দিক থেকে টেস্টে ঘরের মাঠে এটা ভারতের চতুর্থ সংক্ষিপ্ত ইনিংস। রানের ভিত্তিতে ঘরের মাঠে তাদের পঞ্চম সংক্ষিপ্ত ইনিংস। ভারতকে ১০৯ রানে গুঁড়িয়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া প্রথম দিনেই তুলে নিয়েছে ৪ উইকেটে ১৫৬ রান। মানে, প্রথম দিন শেষেই অস্ট্রেলিয়া পেয়ে গেছে ৪৭ রানের লিড। তাদের হাতে আছে আরো ৬টি উইকেট।
ইন্দোরের হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের এই দুর্দশার কারণ অস্ট্রেলিয়ার তিন স্পিনার—ম্যাথু কুহনেমান, নাথান লায়ন ও টড মার্ফি। তিনজনে মিলেই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভারতকে। অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স না খেলায় এই টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্টিভেন স্মিথ। কিন্তু তিনি দিনের শুরুতেই করে বসেন দুটি ভুল। ভুল রিভিউ না নেওয়ার। তাতে মিচেল স্টার্কের করা প্রথম ওভারেই দুই বার বেঁচে যান ভারত অধিনায়ক রোহিত। আম্পায়ারের ‘নটআউট’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নেননি স্মিথ। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, রোহিত দুই বারই আউট ছিলেন।
দুই বার ভাগ্যগুণে জীবন পেয়েও ব্যর্থ রোহিত আউট হন ১২ রান করে। তাকে দিয়েই ভারতের ইনিংস গুঁড়িয়ে দেওয়ার যাত্রা শুরু করেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা কুহনেমান। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই ভারত ধ্বংসের বড় নায়ক। এছাড়া লায়ন ৩ উইকেট ও মার্ফি একটি উইকেট নিয়েছেন। অন্যটি রানআউট। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন বিরাট কোহলি।
জবাবে উসমান খাজার ৬০ রানের ইনিংসে চড়ে প্রথম দিন শেষেই দেড়শ পেরিয়ে গেছে অজিরা। এছাড়া লাবুশানে ৩১, স্মিথ ২৬ ও ট্রাভিস হেড ৯ রান করে আউট হয়েছেন। ভারতের হয়ে ৪টি উইকেটই নিয়েছেন জাদেজা। দিন শেষে হ্যান্ডসকম্ব ৭ ও ক্যামেরন গ্রিন উইকেটে আছেন ৬ রান করে।