খুব শিগগিরই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার (১৩ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন এ কথা বলেন। দ্য হিলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করা উচিত কিনা সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের ‘হ্যাঁ-সূচক’ জবাব দিয়েছেন। তবে ঠিক কবে তিনি শি’র সঙ্গে কথা বলবেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
এর আগে বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রেসিডেন্ট শি চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের বৈঠকের পরপরই দেখা করবেন।’জেক সুলিভান আরো বলেন, ‘আমি আপনাকে কোন নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারি না, কারণ কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। দুই নেতা সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ২০২২ সালের নভেম্বরে দেখা করেছিলেন।
গত মাসে দক্ষিণ ক্যারোলিনার উপকূলে মার্কিন এফ-২২ যুদ্ধবিমান একটি চীনের বেলুনকে গুলি করে ভূপাতিত করে। এরপর ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়।এছাড়া, ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য চীন রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছে বলেও অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে দুই দেশের মধ্যে আরও চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আগামী সপ্তাহে তার সফর হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ অবসানে চীন মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্টের সফরের এই পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস ৩০ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুতিন এই বসন্তে শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এছাড়া ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গত মাসে জানিয়েছে, যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করার বিষয়ে শি জিনপিং পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। সফরের প্রস্তুতি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং যদিও তারিখ ও সময় এখনও নির্ধারণ করা হয়নি, শির সফর এপ্রিল বা মে মাসের প্রথম দিকে হতে পারে।সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন, শি প্রত্যাশিত সময়ের আগেই সফর করবেন। ক্রেমলিন ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন গত মাসে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইকে মস্কো সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সে সময় শির সম্ভাব্য রাশিয়া সফর সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।