শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

সব রপ্তানি খাতে বন্ডেড ওয়্যার হাউস লাইসেন্স সুবিধা দেওয়া হতে পারে

প্রতিনিধির / ৫৬ বার
আপডেট : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩
সব রপ্তানি খাতে বন্ডেড ওয়্যার হাউস লাইসেন্স সুবিধা দেওয়া হতে পারে
সব রপ্তানি খাতে বন্ডেড ওয়্যার হাউস লাইসেন্স সুবিধা দেওয়া হতে পারে

পোশাক শিল্পের মতো অন্যান্য রপ্তানি খাতেও বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। সেই সঙ্গে শতভাগ রপ্তানিমুখী পণ্যের ক্ষেত্রে ডিউটি ড্র ব্যাক সুবিধাও থাকবে। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে বের হয়ে আসার পর রপ্তানি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ বিষয়গুলো বিবেচনা করছে সরকার।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কমিটির সভাপতি। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে গত বছরের এপ্রিলে এই কমিটি গঠন করা হয়।২০২৬ সালের পর এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এখনকার মতো শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে এ সুবিধা উঠে যাবে ২০২৯ সালে। এ ছাড়া ওষুধ শিল্পে মেধাস্বত্বের বিধানে যে ছাড় রয়েছে, তাও কঠোর হবে।

তাই এলডিসি-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবেই সব রপ্তানি খাতেই বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। এ সুবিধার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানিপণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে কোনো শুল্ক পরিশোধ করতে হয় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান  বলেন, শতভাগ রপ্তানিমুখী সব পণ্যে বন্ডের ওয়্যারহাউস সুবিধা দিলে খুবই ভালো হবে। তবে শেষ পর্যন্ত তা শুধু কাগজে-কলমে থাকলে লাভ হবে না। বর্তমানে তৈরি পোশাকের বাইরে অন্যান্য যেসব খাতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার ঘোষণা আছে, তা শতভাগ কার্যকর নয়। বিশ্বব্যাংকের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বন্ডেড প্রক্রিয়ায় নানান জটিলতায় এ সুবিধা শেষ পর্যন্ত কাজে লাগাতে পারেননি চামড়া খাতের উদ্যোক্তারা। সত্যিকার অর্থেই বন্ডেড ওয়্যারহাউসের সুবিধায় সব রপ্তানিকারকের শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি নিশ্চিত করা গেলে রপ্তানি খাত শক্তিশালী হবে।

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে সরকার রপ্তানিকারকদের বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা দিয়ে থাকে। বর্তমানে মূলত দুই ধরনের বন্ডেড ওয়্যারহাউস রয়েছে। শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পে স্পেশাল বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স ইস্যু করা হয়ে থাকে। এর বাইরে শতভাগ রপ্তানিমুখী আরও কিছু প্রতিষ্ঠানকে জেনারেল বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স দেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে– ট্যানারি ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান, ডিপ্লোমেটিক বন্ড এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) বন্ড প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির বিষয়েও আলোচনা হবে। যেসব দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করা যেতে পারে, তার সম্ভাব্য একটি তালিকাও করা হয়েছে। দেশের তালিকায় রয়েছে ভারত, চীন, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও ইন্দোনেশিয়া। আর অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে আরসিইিপি, আসিয়ান, ইইউ ইত্যাদি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ