নতুন করে সুদহার বাড়ালে ব্যাংকিং খাতে আরো অস্থিরতা দেখা দিতে পারে- এমন আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও আবারও সুদহার বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। দেশটিতে ব্যাংক সুদের হার দশমিক ২৫ পয়েন্ট বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বলেছে, ব্যাংকিং খাত শক্ত অবস্থানে আছে। তবে যেসব ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে আগামী কয়েক মাসে সেগুলোর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
জীবনযাপনের ব্যয় ও পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে গত বছর থেকেই সুদহার বাড়িয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভ ব্যাংক।তবে সুদহার বাড়ানোর বিষয়টি ব্যাংকিং খাতে নতুন অস্থিরতা তৈরি করেছে। এ মাসেই সিলিকন ভ্যালি এবং সিগনেচার নামে দুটি ব্যাংকে ধস নেমেছে শুধু এ কারণে। ব্যাংকগুলো যেসব বন্ড কিনে রেখেছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সুদহার বৃদ্ধির কারণে সেসব বন্ডের দাম কমে যাবে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস ব্যাংক দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, তারা আশা করছে ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আর ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ২ শতাংশ, যা সাধারণের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস তারা দিয়েছিল সেটি থেকেও এটি কম।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত টানা ৯ দফা সুদহার বাড়িয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ। গত বছর যেখানে ঋণের ক্ষেত্রে নামেমাত্র সুদ দিতে হতো সেখানে এখন সেটি বেড়ে ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।মার্কিন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাংক আরো জানিয়েছিল, সুদহার বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে ইতোমধ্যে সুর নরম করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা বলেছে, সুদহার বৃদ্ধির বদলে ‘নীতিতে পরিবর্তন আনলে সবচেয়ে ভালো হবে।’
প্যান্থিয়ন ম্যাক্রোইকোনমিকস নামের একটি সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়ান শেপার্ডসন বলেছেন, ‘ফেডারেল রিজার্ভের এ সিদ্ধান্ত সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, তারা ভীত।’ সুদহার বৃদ্ধির মানে হলো বাড়ি কেনার খরচ বেড়ে যাওয়া, ব্যবসার পরিধি বাড়ানোসহ বিভিন্ন খরচ বেড়ে যাওয়া। সুদহার বাড়িয়ে মূলত এসব বিলাসী পণ্যের চাহিদা কমানোর চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল থাকে।