ফরিদপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় রিক্তা আক্তার (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।গৃহবধূ ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের মোহনমিয়া নতুনহাট এলাকার মো. রুবেল মোল্যার স্ত্রী।
ওই প্রসূতির শ্বশুর মো. রফিক মোল্যা অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার আমার ছেলের বউয়ের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে শহরের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। সন্ধ্যায় আমার ছেলের বউকে নার্স ও আয়ারা বাচ্চা প্রসব করাতে নেয় ওটিতে। কিছুক্ষণ পর এসে বলে রোগীর অবস্থা ভালো না। জরুরি সিজার করতে হবে। ৩০ মিনিট পর বলে বাচ্চা এবং দুজনের অবস্থাই খারাপ। বাচ্চা বাঁচলেও মা বাঁচবে না এবং মাকে বাঁচালে বাচ্চা বাঁচবে না।তখন মহাবিপদে পড়ে যাই আমরা। এর পর নার্সরা এসে বলে পেট কেটে বাচ্চা বের করলে কারোই সমস্যা হবে না, জরুরি রক্ত লাগবে বলে অনাপত্তিপত্রে সই করতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর আমাদের জানানো হয় বউমার পুরো জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ধারণা ইফতারির সময় ডাক্তার না থাকার কারণে নার্স এবং আয়ারা মিলে সিজার করিয়েছে। সে কারণে আমার ছেলের বউয়ের সারাজীবনের সর্বনাশ হয়ে গেছে।তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন ডাক্তার দিয়েই এ সিজার করানো হয়েছে, নার্স কিংবা আয়া দিয়ে নয়।
শ্বশুর রফিক মোল্যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন ডা. কল্যাণ কুমার সাহা ও ডা. মো. জাহাঙ্গীর এ সিজার করেছেন।এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে ডা. কল্যাণ কুমার সাহা ও ডা. মো. জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ মোহাম্মাদ বদরুদ্দোজা বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ওই পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। সিভিল সার্জন স্যার ঢাকায় একটি ট্রেনিংয়ে আছেন। স্যার ঢাকা থেকে এলে বিষয়টি স্যারকে জানাব।