সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন

আজ প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলবে

প্রতিনিধির / ৯১ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩
আজ প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলবে
আজ প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলবে

দীর্ঘ অপেক্ষার পর আজ মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলবে। প্রথমে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে সেতু অতিক্রম করে মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত ‘গ্যাংকার’ চালানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে এখন সাত বগির ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র বলছে, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে চীন থেকে আনা নতুন সাতটি বগি আজ প্রথম ট্রেনের বহরে যুক্ত হবে। ট্রেন চালানো হবে আমেরিকা থেকে আনা নতুন ইঞ্জিনে। ইঞ্জিন ও বগিগুলো সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় রাখা ছিল। সেখান থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশে গতকালই রওনা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সেতুতে রেললাইন বসে যাওয়ায় মঙ্গলবার তা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল রেলমন্ত্রীর। এ দিন সেতুতে শুধু ‘গ্যাংকার’ চালানোর পরিকল্পপনা ছিল। এখন আনুষ্ঠানিকভাবেই রেলের ট্রায়াল কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হচ্ছে।’সূত্র বলছে, আজ ‘পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত টেস্ট রান কার্যক্রমের উদ্বোধন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। দুপুর ১২টায় মাওয়ার উদ্দেশে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর প্রথম ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে। ২টায় ট্রেনটি মাওয়ায় পৌঁছানোর কথা।

৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুতে এখন শতভাগ রেললাইন বসে গেছে। এর মাওয়া প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত টানা ৪২ কিলোমিটার রেলপথ এখন দৃশ্যমান।রেলের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রকল্পের অধীন প্রথমে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে। এই রেলপথ চালু হলে আরো ছয়টি রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রাথমিক ভাবনায় রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, যশোরের বেনাপোল, খুলনা, রাজশাহীর ট্রেনও এই পথে চালানোর চিন্তা আছে। সে ক্ষেত্রে ভারতে যাওয়ার মৈত্রী ট্রেনও এই পথ ব্যবহার করবে ভবিষ্যতে।

পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার পুরো ৪২ কিলোমিটার পথে বিশেষ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে। এর আগে অনেক জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাংকার চালানো হয়েছে।’এদিকে ঢাকা থেকে মাওয়া অংশে প্রায় ১০ কিলোমিটার রেললাইন বসানো হয়েছে। মাওয়া প্রান্ত থেকে ঢাকামুখী রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। শ্রীপুর, কেরানীগঞ্জ, পাগলা ও ডেমরা এলাকায় খণ্ড খণ্ডভাবে রেললাইন বসানো হয়েছে।

রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা দিয়ে যশোরের সঙ্গে রেল নেটওয়ার্ক যুক্ত হবে। একই সঙ্গে ভাঙ্গা থেকে পাচুরিয়া-রাজবাড়ী সেকশনটি পদ্মা সেতু হয়ে সরাসরি ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হবে।

বর্তমানে রেলপথে ঢাকার সঙ্গে খুলনার দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন রেলপথটি চালু হলে দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। এ ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে নতুন পথে নতুন রেলযাত্রী তৈরি হবে। দূরত্ব ও ভোগান্তি কমবে।বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান বলেন, রেললাইন বসে গেলেও আরো কয়েক ধাপের কাজ বাকি আছে। সব কাজ শেষে নিয়মিত পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে। সেপ্টেম্বর নাগাদ যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ