আমদানি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ঘাটতি কমে ১ হাজার ৩৮৩ কোটি ডলারে নেমেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২ হাজার ২৪৩ কোটি ডলার। চলতি হিসাবের ঘাটতিও অনেক কমেছে। যদিও নতুন ঋণ কমে যাওয়া এবং আগের ঋণ পরিশোধের চাপ বৃদ্ধিসহ নানা কারণে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি বেড়ে তিনগুণ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ের ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা লেনদেন ভারসাম্যের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৮৭৯ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ কম। আর রপ্তানি ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৪৯৭ কোটি ডলার হয়েছে। অন্যদিকে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৪০১ কোটি ডলার, যা ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।চলতি হিসাবের ঘাটতি কমে ৪৩৯ কোটি ডলারে নেমেছে। আগের বছরের একই সময়ে যেখানে ঘাটতি ছিল ১ হাজার ২৯৬ কোটি ডলার। তবে আর্থিক হিসাবে বড় অঙ্কের উদ্বৃত্ত থেকে ঘাটতি হয়েছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আর্থিক হিসাবে ১৫৪ কোটি ডলার ঘাটতি হয়েছে।
আগের অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে উদ্বৃত্ত ছিল ১ হাজার ১৯১ কোটি ডলার। এ সময়ে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ৪৬৩ কোটি ডলারে নেমেছে। স্বল্পমেয়াদি ও বাণিজ্য ঋণও কমেছে অনেক। সব মিলিয়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে ৭৯৫ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে যা মাত্র ২২২ কোটি ডলার ছিল।