শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন

কাঁচা পাট সংগ্রহে উৎসে কর প্রত্যাহার চান উদ্যোক্তারা

প্রতিনিধির / ৭০ বার
আপডেট : রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩
কাঁচা পাট সংগ্রহে উৎসে কর প্রত্যাহার চান উদ্যোক্তারা
কাঁচা পাট সংগ্রহে উৎসে কর প্রত্যাহার চান উদ্যোক্তারা

পাটপণ্য রপ্তানিতে পতনের ধারা অব্যাহত আছে। এ নিয়ে উদ্যোক্তা-রপ্তানিকারকরা উদ্বিগ্ন। পতন ঠেকাতে রপ্তানি সহায়ক নীতি চান তাঁরা। তাঁদের মতে, হাটবাজার থেকে কাঁচা পাট সংগ্রহে উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রত্যাহার করা দরকার। এ ছাড়া রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আদলে পাট খাতের জন্য আলাদা তহবিল চেয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো বাজেট প্রস্তাবনায় এসব বিষয় তুলে ধরেছে বেসরকারি পাটকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ)। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই কার্যালয়েও প্রস্তাবনার কপি পাঠানো হয়েছে।চলতি অর্থবছরেরর জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে পাটের সুতার রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩২ শতাংশ কম হয়েছে। অন্য সব ধরনের পাটপণ্যের রপ্তানি কমেছে গড়ে ২১ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ শতাংশ কম হয়েছে রপ্তানি। রপ্তানি হয়েছে ৭০ কোটি ডলারের কম। চলতি অর্থবছর পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে ১১৩ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

জানতে চাইলে বিজেএমএর মহাসচিব আব্দুল বারেক খান সমকালকে বলেন, ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক এবং উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে বিকল্প পণ্যে ঝুঁকছেন বিদেশি ক্রেতারা। এ কারণে পাটপণ্যের রপ্তানি কমছেই। এ অবস্থায় অনেক পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক পাটকল বন্ধের মুখে রয়েছে। কিছু পাটকল সক্ষমতার চেয়ে কম উৎপাদনের মাধ্যমে ব্যবসায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এতে পাটের অর্থনীতি বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়েছে। শ্রমিক বেকার হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে একপর্যায়ে পাট চাষে আগ্রহ হারাবেন কৃষক। সার্বিক এ পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে নীতি সহায়তা চেয়েছেন তাঁরা। আগামী বাজেটে এসব নীতি সহায়তা চেয়ে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে বিষয়গুলো সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে আশা করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ