মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের সর্বশেষ পরিস্থিতি সংক্রান্ত জরুরি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত লেবার ডিপার্টমেন্ট ৮ হাজার সাতশ ২৭টি নিয়োগের ডিমান্ডের বিপরীতে ৩ লাখ ৫৮ হাজা ৮৯২ জন বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন প্রদান করেছে। এরই মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯৫ জন নতুনকর্মী মালয়েশিয়ায় এসে পৌঁছেছে। বাকি প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর আগমন প্রক্রিয়াধীন আছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই থেকে বছরে মধ্যে মালয়েশিয়ায় আনুমানিক মোট পাঁচ লাখ নতুন বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হবে।
আজ রবিবার বাংলাদেশ হাইকমিশন আরো জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের সকল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিবিড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগের ওপর চার বছর পূর্বে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। পরবর্তীতে গত বছরের ২ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবার পর দুই দেশের সংশ্লিষ্ট অফিসে প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন পূর্বক গত বছরের আগস্টে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় আসার পর কিছু সংখ্যক বিদেশি কর্মী সঠিক কাজ পাচ্ছে না বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, সোস্যাল মিডিয়া ও ব্যক্তিগত সোর্স থেকে জানা গেছে। তার মধ্যে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশী কর্মীও সমস্যায় পড়েছে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন অবহিত হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকমিশন নিজস্ব উদ্যোগে এবং মালয়েশিয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নিয়েছে। কিছু সংখ্যক কর্মীদের কাজ প্রদানে নিয়োগকর্তাকে বাধ্য করা হয়েছে। বাকি কর্মীদের নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে নিয়োগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। হাইকমিশন বলছে, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পূর্ণ আন্তরিকতা ও সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সকল প্রকার চ্যালেঞ্জকে বিবেচনায় রেখে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন শ্রমিক নিয়োগের ডিমান্ড সমূহের অনুমোদনের সত্যতা এবং নিয়োগকারীর সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য ক্ষেত্র বিশেষে কিছু কিছু কম্পানি সরেজমিনে তদন্তের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ কার্যক্রম পরিচালনায় হাইকমিশনের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার শিথিলতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না।