শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন

ছুটি শেষ, মেট্রোরেলে এখনও চলছে ঈদের আমেজ

প্রতিনিধির / ১২৬ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩
ছুটি শেষ, মেট্রোরেলে এখনও চলছে ঈদের আমেজ
ছুটি শেষ, মেট্রোরেলে এখনও চলছে ঈদের আমেজ

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে স্বজনদের ঘুরিয়ে এনেছেন মিরপুরের বাসিন্দা আরিফ হাসান। ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহ থেকে আসা আত্মীয়দের নিয়ে মেট্রোরেল ভ্রমণ করেন তিনি। ছবি তুলে, ভিডিও করে মেট্রোরেলে প্রথমবার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সংরক্ষণ করছেন মোবাইল ফোনে।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পল্লবী স্টেশনে কথা হয় আরিফ হাসানের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি জানান, ঈদের ছুটি কম হওয়ায় এবার বাড়ি যাওয়া হয়নি। গত বুধবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়েছে। গ্রাম থেকে খালা, খালাতো ভাই ও বোনেরা এসেছেন। তাদের নিয়ে মেট্রোরেলে ঘুরলাম।ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে গত চারদিন আগে। তবুও মেট্রোরেলে ঈদের আমেজ রয়ে গেছে। উপচেপড়া ভিড় না থাকলেও কেবল ভ্রমণের জন্য আসা যাত্রীর কমতি নেই। শুধুমাত্র শহরের মানুষই নয়, ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে অনেকেই আসছেন বিনোদনকেন্দ্রগুলো ঘুরতে। তাদের অনেকে আবার মেট্রোরেলে ঘুরছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, শুক্রবার মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ ছিল কম। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ট্রেন চললেও পল্লবী স্টেশন থেকে ১০-২০ জন যাত্রী উঠেছেন। অধিকাংশ যাত্রীর এবারই প্রথম মেট্রোরেল ভ্রমণ। স্টেশনে থাকা আনসার সদস্যরা বা স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবীর কীভাবে টিকিট কাটতে হয় দেখিয়ে দিচ্ছেন।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদ উদযাপন শেষে অনেকেই রাজধানী ফিরেছেন। শুরুতে মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে পারেননি। আবার গ্রামের বাড়ি থেকে কারও কারও সঙ্গে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনরা। আর এই সুযোগে আত্মীয়দের নিয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছেন অনেকে।

ব্যবসায়ী সাজেদুল দুই মেয়েকে নিয়ে উত্তরা ঘুরে পল্লবী স্টেশনে এসেছেন। তিনি বলেন, আমরা মিরপুর থাকি। বেশ কয়েকবারই মেট্রোতে চড়া হয়েছে। কিন্তু মেয়েদের নিয়ে আসা হয়নি। ঈদের শুরুতে ভিড় ও সময় মতো আসতে না পারায় এখন এসেছি। মেট্রোতে ভ্রমণ করে মেয়েরা অনেক খুশি।রংপুর থেকে ঢাকায় বেড়াতে আসা আত্মীয়সহ পরিবার নিয়ে মেট্রোরেল ভ্রমণে এসেছেন তানভীর ইসলাম। তিনি বলেন, সোমবার আমরা ঢাকায় এসেছি। আমাদের সঙ্গে বাসায় আত্মীয়-স্বজন এসেছেন। আগামীকাল তারা চলে যাবেন। আজ তাদের নিয়ে মেট্রোরেল ভ্রমণে এসেছি। বাসার লোকেরা কখনও মেট্রোরেলে চড়েনি। আজকে যেহেতু ছুটির দিন, এই সুযোগে সবাইকে নিয়ে আসলাম।

তিনি বলেন, এটা খুবই সুন্দর যাতায়াত ব্যবস্থা। বাচ্চারাও আনন্দ পাচ্ছে ভ্রমণ করে। দ্রুত এক যায়গা থেকে আরেক যায়গায় যেতে পারছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ