বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন

এক বছরে সরিষা উৎপাদন বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার

প্রতিনিধির / ৭৮ বার
আপডেট : সোমবার, ১ মে, ২০২৩
এক বছরে সরিষা উৎপাদন বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার
এক বছরে সরিষা উৎপাদন বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার

গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার উৎপাদন বেড়েছে। সে সঙ্গে সরিষা তেলের উৎপাদন বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার। আর এতেই ভোজ্যতেল নিয়ে আশার আলো দেখছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়টি।

সোমবার (১ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরিষার আবাদ ২ লাখ হেক্টর জমির বিপরীতে উৎপাদন বেড়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন, যা তেলের হিসেবে ১ লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন বেশি উৎপাদিত হয়েছে। আর প্রতি লিটার তেলের মূল্য ২৫০ টাকা করে হিসেব করলে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার।

 

ভোজ্যতেলের চাহিদার শতকরা ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে প্রথম এক বছরেই দেশে সরিষার আবাদ বেড়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।এতে বলা হয়েছে, গতবছর সরিষা আবাদ হয়েছিল ৬ লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে, এ বছর হয়েছে ৮ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। গতবছর উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন, এ বছর হয়েছে ১১ লাখ ৫২ হাজার টন। এক বছরেই উৎপাদন বেড়েছে শতকার ৪০ ভাগ।

দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী হতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র ৩ লাখ টন, যা চাহিদার শতকরা ১২ ভাগ। বাকী ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। সেজন্য, ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে ৩ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয় বলছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ধানের উৎপাদন না কমিয়েই আগামী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে ১০ লাখ টন তেল উৎপাদন করা হবে, যা চাহিদার শতকরা ৪০ ভাগ। এর ফলে তেল আমদানিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মধ্যে সরিষা, তিল, বাদাম,সয়াবিন, সূর্যমুখীসহ তেলজাতীয় ফসলের আবাদ তিনগুণ বৃদ্ধি করে বর্তমানের ৮ লাখ ৬০ হেক্টর জমি থেকে ২৩ লাখ ৬০ হাজার হেক্টরে উন্নীত করা হবে। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বর্তমানের ১২ লাখ টন থেকে ২৯ লাখ টনে এবং তেলের উৎপাদন বর্তমানের ৩ লাখ টন থেকে ১০ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৩টি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । প্রথমটি হচ্ছে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বর্তমানে আবাদকৃত টরি-৭, মাঘী, ডুপিসহ স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উচ্চফলনশীল সরিষার জাত বিনা-৪, ৯, বারি ১৪, ১৭ প্রভৃতি জাত ছড়িয়ে দেয়া। দ্বিতীয়টি হচ্ছে অনাবাদী চরাঞ্চল, উপকূলের লবণাক্ত, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলকে তেলজাতীয় ফসল চাষের আওতায় আনা। তৃতীয়টি হচ্ছে নতুন শস্য বিন্যাসে স্বল্প জীবনকালের ধানের চাষ করে রোপা আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষার চাষ করা।এছাড়া, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে নানারকম প্রণোদনা। এর ফলে প্রথম এক বছরেই প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ