শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুন মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির / ১১৯ বার
আপডেট : সোমবার, ১ মে, ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুন মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুন মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে র‍্যাব ৪ জনকে ও পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ পর্যন্ত জোড়া খুনের ঘটনায় ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।

সোমবার (১ মে) দুপুরে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান ও জেলা পুলিশ সুপার মো. সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তাররা হলেন বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান নিশান, রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান ফয়সাল, আওয়ামী লীগ কর্মী রুবেল দেওয়ান ও নাজমুল হোসেন। এর মধ্যে নিশান মামলার দ্বিতীয়, ফয়সাল তৃতীয় ও রুবেল ১১ নম্বর আসামি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

এ ছাড়া রোববার পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ফারুক হোসেন ও আরমান হোসেন নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা এজাহারে আসামি নয় বলে জানা গেছে। সন্দেহজনকভাবে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।২৭ এপ্রিল র‍্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্নস্থান থেকে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পর দিন আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তারা হলেন মনির হোসেন রুবেল, আজিজুল ইসলাম বাবলু, মো. সবুজ ও ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী। এর মধ্যে রুবেল র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।

র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ইউপি নির্বাচন নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নোমান-রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদী ১৯৯৬ সালে নিজের নামে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। তার বাহিনীতে ৩০০ সক্রিয় সদস্য রয়েছে। যাদের মাধ্যমে তিনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান ও তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তাররা চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও জানান, কাশেম জিহাদী তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তার করে এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। ২০১৩ সালে দত্তপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামিম, ২০০০ সালে আইনজীবী নুরুল ইসলাম, দত্তপাড়া এলাকার আবু তাহের, বশিকপুরের নন্দীগ্রামের মোরশেদ আলম, করপাড়ার মনির হোসেন, উত্তর জয়পুরের সেলিম ভূঁইয়া ও কামাল হোসেন হত্যা মামলাসহ নোমান-রাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাশেম জিহাদি।

লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরের পোদ্দার বাজারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম।
এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বশিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং একটি অস্ত্রধারী বাহিনী প্রধান আবুল কাশেম জেহাদীকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৪-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি আবুল কাশেম জেহাদীকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ