শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন

ঈদের মাসে প্রবাসী আয়ে ছন্দপতন

প্রতিনিধির / ৭৫ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩
ঈদের মাসে প্রবাসী আয়ে ছন্দপতন
ঈদের মাসে প্রবাসী আয়ে ছন্দপতন

ঈদের মাস এপ্রিলে প্রবাসী আয়ে ছন্দপতন হলো। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে) ১৮ হাজার ১৭ কোটি ৪০ হাজার টাকা। অথচ গত মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার। মঙ্গলবার (২ মে) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, আগের তিন মাস ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও মার্চের ধারাবাহিকতা হিসেব করে ঈদের মাসে দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসবে বলে ধারণা করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও মার্চে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন যথাক্রমে ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার, ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার ও ২০২ কোটি ২৫ লাখ ডলার। কিন্তু এপ্রিল তা কমে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা থেকে হঠাৎ করে নিম্নমুখী হয় প্রবাসী আয়। এরপর ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠাতে নানামুখী উদ্যোগ নিলে প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। মার্চ মাসেও সে ধারা অব্যাহত ছিল। এপ্রিলে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠাবে ধরে নেওয়া হলেও ঈদ শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্সের যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তাতে দেখা যায় আয়ে আবার ছন্দপতন ঘটেছে।প্রবাসী আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানোর জন্য গত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ইতিবাচক ফলও পাওয়া যাচ্ছিল। পদক্ষেপগুলো হলো- বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর বিপরীতে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা; প্রবাসী আয় পাঠানো প্রবাসীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া; প্রবাসী আয় বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করা; অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া; ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা ও রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ।

এছাড়া সেবার বিনিময়ে দেশে প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করার ব্যবস্থা করা হয়। ঘোষণা ছাড়াই সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ২০ হাজার মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়।এ সব উদ্যোগের ফলে প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছিলো। কিন্তু সব উদ্যোগ ভেস্তে যায়। বড় ধরণের ছন্দ পতন ঘটে প্রবাসী আয়ে। প্রবাসী আয়ের এ ছন্দ পতন টের পেয়ে প্রতি ডলারে আগের রেট ১০৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০৮ টাকা করা হয়। যা মঙ্গল (২ মে) থেকে কার্যকর হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ