শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক বছরে ১৮০০০ কোটি টাকা তুলে নেন আমানতকারীরা

প্রতিনিধির / ৮০ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক বছরে ১৮০০০ কোটি টাকা তুলে নেন আমানতকারীরা
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক বছরে ১৮০০০ কোটি টাকা তুলে নেন আমানতকারীরা

২০২২ সালে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে ১৭ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন আমানতকারীরা। ফলে বিগত বছরে ব্যাংকটির আমানতের এই পরিমাণ অর্থ কমে গেছে। আমানত কমলেও একই সময়ে ব্যাংকটি ১১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। আমানত কমে যাওয়ার বিপরীতে বিনিয়োগ বা ঋণ বেড়ে যাওয়ায় গত বছর নগদ অর্থের সংকটে ছিল ব্যাংকটি।

সম্প্রতি প্রকাশিত ব্যাংকটির ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।বিদায়ী বছরে আমানত কমে ঋণ বাড়লেও নিট মুনাফা বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের। গত বছর ব্যাংকটির নিট মুনাফা হয়েছে ৬১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা তার আগের বছর ২০২১ সালে ছিল ৪৮০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে নিট মুনাফা বেড়েছে ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, গত বছর ব্যাংকটিতে ঋণ বিতরণে বড় ধরনের অনিয়মের ঘটনা প্রকাশ হলে আমানত তুলে নিতে শুরু করেন গ্রাহকরা। এতে তারল্য সংকটে পড়ে ব্যাংকটি। এ অবস্থায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতিও হয়।গত বছর ইসলামী ব্যাংকে ঋণ বিতরণে অনিয়ম নিয়ে তথ্য প্রকাশের পর এ নিয়ে অন্য আরও কয়েকটি ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই সময় প্রায় এক লাখ কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তুলে নেন আমানতকারীরা। এতে বিভিন্ন ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়ে। সংকট কাটাতে তখন বিভিন্ন ব্যাংকের পাশে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ কমে যায়। শেয়ারপ্রতি প্রায় ৫৬ টাকা ঋণাত্মক ছিল নগদ অর্থের প্রবাহ, যা তার আগের বছর উদ্বৃত্ত তারল্য ছিল। ২০২১ সালে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ ছিল ৪১ টাকার বেশি। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ৯৭ টাকা।

২০২২ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিট মুনাফা হয়েছে ৬১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ২০২১ সালে এ ব্যাংকের নিট মুনাফা ছিল ৪৮০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১৩৫ কোটি ৯৪ লাখ বা ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।ইসলামী ব্যাংকের ২০২১ সাল শেষে আমানত ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা এবং ঋণ ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ