বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন

একজন শিক্ষার্থীর পেছনে দুজন অভিভাবক না আসার আহ্বান ঢাবি ভিসির

প্রতিনিধির / ১৫৮ বার
আপডেট : শনিবার, ৬ মে, ২০২৩
একজন শিক্ষার্থীর পেছনে দুজন অভিভাবক না আসার আহ্বান ঢাবি ভিসির
একজন শিক্ষার্থীর পেছনে দুজন অভিভাবক না আসার আহ্বান ঢাবি ভিসির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও ঢাকাসহ আট বিভাগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৪২ শিক্ষার্থী রয়েছেন।শনিবার বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় পরীক্ষা শেষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা যায়, এ বছর কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে মোট আবেদন পড়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৮৮২টি। অর্থাৎ প্রতি আসনের জন্য লড়াই হবে প্রায় ৪২ শিক্ষার্থীর মধ্যে। আগে পাঁচ ইউনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর থেকে শুধু চারটি ইউনিটে পরীক্ষা হচ্ছে। বাদ দেওয়া হয়েছে ‘ঘ’ ইউনিট। তবে বিভাগ পরিবর্তনকারীরা ‘বি’ ইউনিটের হয়েই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। বরাদ্দ রয়েছে নির্দিষ্ট সিটও। ফলে এই ইউনিটের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট। বিভাগ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীরা কলা অনুষদ, আইন অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোতে এবং সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

এদিকে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কলাভবন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা এখন যথেষ্ট বড় হয়েছে। তাদের আমাদের ছেড়ে দিতে হবে। এখন ওকে নিজের মতো করে কাজ করতে দিয়ে সক্ষম করে তোলা আমাদের জন্য জরুরি। একজন শিক্ষার্থীর পেছনে যেন দুজন অভিভাবক না আসে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা মেধা এবং সক্ষমতার স্বাক্ষর ইতোমধ্যে রেখেছে ভালো ফলের মাধ্যমে।তিনি আরও বলেন, বাড়তি যানবাহন, অন্যান্য পরিবহণে যেন প্রবেশ না করে, যাতে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। বাড়তি মানুষের চাপ, উৎসুক মানুষের চাপ যেন না থাকে। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আছেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আছেন, স্বেচ্ছাসেবকরা আছেন। সহযোগিতার সব ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।

প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, অসাধু চক্রের নানা ধরনের অপপ্রয়াস, ডিজিটাল জালিয়াতি, প্রশ্নফাঁসসহ নানা ধরনের তৎপরতা ছিল। তাদের মূলোৎপাটনের একটা উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম। সেই সূত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং তাদের বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যার ফলে সে বিষয়টি এখন নেই তবু আমরা সতর্ক রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা আশা করব সামনের দিনগুলোতেও পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভালো থাকবে। এ ক্ষেত্রে সব মহলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ