বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আল মায়েদা আক্তার রজনী (৮) নামের এক শিশুকে তিন বন্ধু মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আসামি। বগুড়া জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুমাইয়া সিদ্দিকার আদালতে শনিবার রাতে জবানবন্দি দেয় অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই আসামি। আদালতের আদেশ তাকে রাতেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার দুপুরের দিকে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়। তারা সবাই সহপাঠী। এদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অন্য দুই আসামিকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নিহত আল মায়েদা আক্তার রজনী এলাঙ্গী পশ্চিমপাড়া গ্রামের গাজীউর রহমান তালুকদারের মেয়ে। সে এলাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আটককৃত কিশোররা মাদকাসক্ত। তারা স্কুলের পাশের একটি জঙ্গলে বসে মাদক সেবন ও পর্ন ছবি দেখত। ওই জঙ্গলে শিশুটি আম কুড়াতে আসত প্রতিদিন। ঘটনার ১০ দিন আগে থেকেই শিশুটিকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে তারা।বৃহস্পতিবার (০৪ মে) বিকেলে শিশুটি আম কুড়াতে জঙ্গলের ভেতর গেলে তাকে কৌশলে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। এতে রক্তক্ষরণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার ভয়ে আটক তিনজনের মধ্যে এক কিশোর শিশুটির মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে।পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শুক্রবার দুপুরে শিশুটির বাবা ধুনট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সন্ধ্যার দিকে স্থানীয়রা জঙ্গলে তার লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।