মঙ্গলবার বিকেলে আদালত থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গত বছর তার পদ হারানোর পর থেকে বিচারাধীন কয়েক ডজন মামলার শুনানির জন্য তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। ইমরানকে গ্রেপ্তার এবং বড় জমায়েতের নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করার পরই ইসলামাবাদজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে ইসলামাবাদ পুলিশ বলেছে, ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে এবং লঙ্ঘনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সম্ভবত চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য পাকিস্তানের ‘ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি)’ হেফাজতে থাকতে হতে পারে। এনএবির একটি সূত্র মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংবাদ সংস্থা ডনকে জানিয়েছে, ইমরান খানকে আজ (বুধবার) জবাবদিহি আদালতে পেশ করা হবে।সূত্রটি আরো জানায়, ‘আমরা তাকে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’ ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৯৯-এর নতুন সংশোধনীর অধীনে, যে কোনো আদালত কর্তৃক প্রদত্ত শারীরিক রিমান্ডের সময়কাল ৯০ দিন থেকে ১৪ দিন কমানো হয়েছে। সূত্রটি জানায়, ইমরান খানের জন্য ১৪ দিনের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে। তবে আদালত কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পিটিআই প্রধান ইমরান খানের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, সূত্রটি বলে ইমরান খানকে এনএবি-এর রাওয়ালপিন্ডি/ইসলামাবাদ আঞ্চলিক সদর দপ্তরে ‘আরামদায়ক পরিবেশেই’ আটক করা হয়েছিল। ইমরান খানের সঙ্গে কঠোর আচরণ করা হবে না বরং তাকে সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেপ্তার বৈধ বলে ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে। ইমরান খানের আইনজীবী ফয়সাল ফরিদ চৌধুরী বলেন, আদালত গ্রেপ্তার বৈধ ঘোষণা করেছে। ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য আমরা দলের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করছি।ইমরান খানকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামাবাদে হাইকোর্টের বাইরে থেকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় ইমরানকে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার মাথায় ও পায়ে আঘাত করা হয়েছে। তার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পাকিস্তান।