শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১২ অপরাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে বৃষ্টি শুরু হয়েছে

প্রতিনিধির / ৫৩ বার
আপডেট : রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে বৃষ্টি শুরু হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে বৃষ্টি শুরু হয়েছে

বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ইতোমধ্যে এর প্রভাবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে বাতাসের গতি ও পানির উচ্চতাও। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। রবিবার (১৪ মে) ভোর থেকেই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ঝড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় এর গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।রবিবার (১৪ মে) সকাল ৯টায় আবহাওয়ার প্রকাশিত সর্বশেষ (১৮তম) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।এটি কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (১৪ মে) বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ সিটুয়ের (মায়ানমার) নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কি.মি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।এর আগে রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাত ৪টায় সেন্ট মার্টিন থেকে তৌহিদুল ইসলাম নামের এক তরুণ এই প্রতিবেদককে জানান, ‘বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ সেখানে বিদ্যুৎ নেই। তারা আশ্রয়কেন্দ্রে অন্ধকারে বসে আছেন। মোবাইল ফোনের চার্জও প্রায় শেষের পথে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে সবার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি আছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ