তেল-উৎপাদনকারী দেশগুলো দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে তেলের উৎপাদন কমানো অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে। সৌদি আরব বলছে ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে তারা। সৌদি আরব একাই নয়, ওপেক প্লাস বলছে জোটগতভাবে মোট ১৪ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমানো হবে। এতে করে এশিয়ার বাজারে বেড়েছে তেলের দাম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সোমবার (৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসের সদস্য ও এর সহযোগী দেশগুলো বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশ জোগান দিয়ে থাকে। ফলে এসব দেশ তেলের উৎপাদন বাড়ানো বা কমানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যে তার প্রভাব পড়ে। সোমবার এশিয়ার সকালের বাণিজ্যে অপরিশোধিত তেলের মূল্য ২.৪ শতাংশের বেশি বেড়ে ব্যারেল প্রতি প্রায় ৭৭ মার্কিন ডলার হয়েছে।
বিশ্ববাজারে রাশিয়ার কম মূল্যের জ্বালানি তেলের কারণে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক এবং ওপেক প্লাস চেষ্টা করেও বিশ্ববাজারে তেলের দামের স্থিতাবস্থা ধরে রাখতে পারছিল না। এর আগে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর জন্য দুই দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অবশেষে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেক প্লাসের সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রীদের দীর্ঘ সাত ঘণ্টার বৈঠক শেষে সৌদি আরব এ সিদ্ধান্ত নেয়। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাকের মতে, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ওপেক প্লাসের মোট উৎপাদন হ্রাস ৩.৬৬ মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছেছে।
তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী আব্দুলআজিজ বিন সালমান বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য বিশাল এক প্রাপ্তির দিন, কারণ এ চুক্তির যে গুণগত মান, তা অসাধারণ, নজিরবিহীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর এ সিদ্ধান্ত অনেক বেশি স্বচ্ছ এবং ন্যায্য।’