শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন

কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু, দাম নিয়ে চিন্তা

প্রতিনিধির / ৭৩ বার
আপডেট : রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩
কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু, দাম নিয়ে চিন্তা
কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু, দাম নিয়ে চিন্তা

চলতি বছর দেশে যে পরিমাণ কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে তা দিয়ে চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত থাকবে। গত কয়েক বছর ধরেই একই অবস্থা। কোরবানির পর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পশু উদ্বৃত্ত থাকছে। তবে এবার খামারিদের সামনে দুটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একটি হলো পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এর প্রভাব পড়বে পশুর দামের ওপর। অতিরিক্ত দামের কারণে কোরবানি দেওয়ার সংখ্যা কমে যেতে পারে। এছাড়া, অবৈধ পথে দেশে গরু ঢোকার আশঙ্কা করছেন খামারিরা। তারা অভিযোগ করেছেন, মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে দেশে গরু ঢুকছে। এসব গরু ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রির জন্য তোলা হচ্ছে। এতে পথে বসে যাবে দেশের খামারিরা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর প্রায় সাড়ে আট লাখ পশু বেশি কোরবানি হলেও এ বছর পশুর অতিরিক্ত দামের কারণে কোরবানির পরিমাণ কতকুটু বাড়বে কিংবা আদৌ বাড়বে কিনা তা নিয়ে খামারিদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা কাজ করছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এবার দেশে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ। এ হিসেবে, কোরবানির পরিমাণ না বাড়লে অবিক্রীত পশুর পরিমাণ বাড়বে। তবে তথ্য বলছে, করোনার আগে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ধারাবাহিকভাবে দেশে কোরবানির পরিমাণ বেড়েছে। এরমধ্যে ২০১৯ সালে দেশে ১ কোটি ৬ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়।

বিশ্বে করোনা মহামারির প্রভাব শেষ না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ আরো বিভিন্ন কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। পশু খাদ্য, ওষুধসহ প্রায় সবকিছুর বাড়তি দামের কারণে এবার পশুর দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে তুলনামূলক বেশি হবে বলে খামারিরা জানিয়েছেন। ক্রেতাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কমার কারণে বড় গরুর চাহিদা এবার তুলনামূলক কম থাকবে বলে তারা মনে করছেন। এজন্য ছোট ও মাঝারি আকারের গরু পালনে তারা বেশি নজর দিয়েছেন। গত বছরও দেশে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি ছিল বলে খামারিরা জানিয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড. নাহিদ রশীদ। এ সময় মোহাম্মদপুরে খামার সাদেক এগ্রো লিমিটেডে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, চলতি বছর দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। গত বছর ঈদুল আজহায় ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল। সেই হিসাবে এবার কোরবানি বাড়লেও পশুর কোনো সংকট হবে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খামারিরা দেশে অবৈধভাবে গরু ঢোকার অভিযোগ করেছেন। তাই আমরা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ