শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন

র‍্যাবের অধিনায়ককে ছুরিকাঘাত : ৩ জনের কারাদণ্ড

প্রতিনিধির / ৭৩ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩
র‍্যাবের অধিনায়ককে ছুরিকাঘাত : ৩ জনের কারাদণ্ড
র‍্যাবের অধিনায়ককে ছুরিকাঘাত : ৩ জনের কারাদণ্ড

টাঙ্গাইলে র‌্যাব কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতের মামলায় দুজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান সোমবার (১২ জুন) বিকেলে এই আদেশ দেন।

পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- গোপালপুর উপজেলার সেনের মাকুল্যা গ্রামের ফজল হকের ছেলে বাবুল শেখ ও আমজাদ খাঁর ছেলে কালাম। তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন একই গ্রামের নুরু মণ্ডলের ছেলে সবুজ।দণ্ডিত বাবুল ও কালামকে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো সাত মাসের কারাদণ্ড এবং সবুজকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের কথা রায়ে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার আসামি নুরু মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি এস আকবর খান জানান, ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১২ (র‌্যাব)-এর তিন নম্বর কম্পানির অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক আভিযানিক দল নিয়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য গোপালপুর উপজেলার সেনেরমাকুল্যা গ্রামে যান। তারা অস্ত্রের ক্রেতার ছদ্মবেশে বাবুল শেখ ও মামুনের কাছে অস্ত্র কেনার দরদাম করেন।দণ্ডিত বাবুল শেখ র‌্যাব সদস্যদের অস্ত্র দেখায়। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা আসামি বাবুলের হাতে হাতকড়া লাগিয়ে দেন। মেজর মাহফুজুল হক মামুন নামক অপর আসামিকে ধরে ফেলেন। এদের চিৎকারে আশপাশের থেকে অন্য আসামিরা চলে আসে।

আসামি সবুজ মেজর মাহফুজুল হককে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় বাবুল ও মামুন পালিয়ে যায়।পরে মেজর মাহফুজুল হককে উদ্ধার করে ঘাটাইল সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।এ ঘটনার ব্যাপারে র‌্যাব সদস্য বাবুল হোসেন বাদী হয়ে ওই দিনই গোপালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালে আসামি মামুন র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিতরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ