হন্ডুরাসে দুটি গ্যাং এর মধ্যে মারামারির ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪১ জন। আহত আরো বেশ কয়েকজন বন্দিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি একটি নারী কারাগারে, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এই দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। হন্ডুরাসের রাজধানী তেগুসিগালপা থেকে জেলটি প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে অবস্থিত।
জেলটির ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৯০০ জন।কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংগুলোর মধ্যে মারামারি শুরু হলে এক পর্যায়ে তারা কারাগারের একটি সেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। কর্মকর্তারা বলছেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণেই বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতদের মধ্যে কয়েকজনকে গুলিও করা হয়েছে।যারা নিহত হয়েছেন তারা সবাই কারাগারের বন্দি কিনা তা স্পষ্ট নয়।দেশটির উপ-নিরাপত্তা মন্ত্রী জুলিসা ভিলানুয়েভা এই ঘটনায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং সহিংসতা দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি অগ্নিনির্বাপক, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর ‘তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ’ অনুমোদন করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের প্রাণহানি সহ্য করা হবে না।
কারাগারে থাকা সমস্ত ব্যক্তি যারা সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের জন্য তদন্ত শুরু করা হবে।’
বন্দিদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিধিত্বকারী ডেলমা অর্ডোনেজ স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, সহিংসতায় কারাগারের একটি অংশ ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নারী কারাগার থেকে ধূসর রঙের বিশাল ধোঁয়া উঠছে।দেশটির প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো বলেছেন, ‘আমি নারীদের ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডে হতবাক এবং এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ কাস্ত্রো গত বছর থেকে এসব গ্যাংদের দমনের জন্য কাজ শুরু করেছিলেন।
হন্ডুরাস দুর্নীতি এবং গ্যাং সহিংসতার জন্য বেশ পরিচিত। যা সরকারি প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ করেছে এবং হত্যার হারও বাড়িয়েছে। দেশটির কারাগারে মারাত্মক দাঙ্গার ইতিহাসও রয়েছে। ২০১৯ সালে উত্তরের বন্দর শহর ‘তেলার’ একটি কারাগারে গ্যাং সহিংসতায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছিলেন।