গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, এসব যোদ্ধারা মিয়ানমারে জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং তারা অস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করছে।
ভারতের মণিপুরে ৯০০ কুটি যোদ্ধা প্রবেশ করেছে। আগে থেকেই এমনটি গুঞ্জন ছিল। শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সেই গুঞ্জন সত্যি হয়েছে। মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে ৯০০ কুকি যোদ্ধা প্রবেশ করছে।
কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, এসব যোদ্ধা ৩০ জনের গ্রুপে ভাগ হয়ে মণিপুরে প্রবেশ করেছে। তারা এই মাসের শেষদিকে মেইতিদের গ্রামে বেশ কয়েকটি হামলার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে।
এই গোয়েন্দা তথ্য ১০০% সত্য বলে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং।
এর রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী এন. বিরেন সিং বলেন, মণিপুরে চলমান অস্থিরতার পেছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে। গত সোমবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এর প্রমাণ হিসেবে সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া একজন বিদেশির কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতের মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জানাতে সোমবার ইমফালে সংবাদ সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী এন. বিরেন। তিনি বলেন, সহিংসতার শুরুতে মণিপুরের একটি বড় অংশ বিশ্বাস করতে পারেননি এটি বিদেশিদের কাজ। এবার তো বোঝা গেল। এ সময় বিদেশি চক্রান্তকারী ও অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আসাম রাইফেলসের প্রশংসা করেন তিনি।
এন, বিরেন সিং বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি বারবার এ কথা বলে আসছি যে, এই চলমান সংকটে বিদেশিদের মদদ রয়েছে। তারা এখানে রসদ যোগাচ্ছে।