ইলিয়াস কাঞ্চন—দেশের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র অভিনেতা। অবিরাম পরিশ্রম করে চলেছেন নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর হঠাৎ ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। শেয়ার করেন গোপন কিছু তথ্য।
ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘ব্যস্ততার কারণে অনেক দিন ধরে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না, ভালো লাগছিল না। (শুক্রবার) যেহেতু ছুটির দিন, তাই বৃহস্পতিবার দেরি করে ঘুমালেও ক্ষতি নেই। ফেসবুক লাইভে চলে এলাম।’
এরপরই নায়ক বলেন, ‘আমি আমার জীবনের কিছু মজার ঘটনা ও দুর্বলতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব, যার মধ্যে অন্যতম একটি আমার আঙুল। ছোটবেলায় আমার আঙুল দুটো পুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুধু পুড়ে যাওয়ার কারণে আমার আঙুল দুটোর এতো ক্ষতি হয়নি। এর পেছনে রয়েছে আরেকটি কারণ।’
কাঞ্চন বলেন, ‘আমার বাবারা সাত ভাই ছিলেন। আমার বাবা ছিলেন চার নম্বর। আমি তখন হামাগুড়ি দিয়ে চলি। তখন বাবার ৫ নম্বর ভাই বিয়ে করেন। আমার মা-বাবাদের কাছে শুনি, সে সময় গরম চুলায় আমি হাত দিয়ে দুটি আঙুল পুড়িয়ে ফেলেছিলাম। তখন ঘরে এসেছে বাবার ভাইয়ের নতুন বউ। তিনি বড় ঘোমটা পরে বাড়িতে হাঁটতেন। একদিন আমি পোড়া আঙুল দিয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিলাম আর উনিও বড় ঘোমটা দিয়ে হাঁটছিলেন। ওই সময় তার পা আমার পোড়া আঙুলের মধ্যে পড়ল। এতে আমার আঙুল দুটো আরও থেঁতলে গেল। বড়রা বলেছিল, ওই সময় চাচির পায়ের চাপা খাওয়ায় আমার পোড়া নরম আঙুল পায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ লেগেছিল। এরপর থেকেই এ খুঁত সঙ্গে নিয়েই আমি বড় হয়েছি।
নায়ক জীবনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘অভিনেতা হিসেবে সিনেমার ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, অল্প বয়সে যখন নায়ক ছিলাম, তখন অনেক সতর্ক হয়ে কাজ করেছি। যেন পর্দায় আমার এ দুর্বলতা কখনও দেখা না যায়। তবে এখন আমি সে গোপন কথাটা বলছি। কারণ, এখন তো আর আমি নায়ক নই।’
প্রসঙ্গক্রমে চলে আসে বলিউড তারকা হৃতিকের বিষয়টিও। কাঞ্চন বলেন, ‘শুনেছি বলিউডের জনপ্রিয় হৃতিক রোশনেরও আঙুলের সমস্যা রয়েছে। তার এক হাতে ৫ আঙুলের জায়গায় ৬ আঙুল। তিনিও পর্দায় এ সমস্যা ভক্তদের কাছে আড়াল করেন সতর্কভাবেই। কারণ, ভক্তরা নায়কদের পারফেক্ট দেখতেই অভ্যস্ত।’
ফেসবুক লাইভে গ্রাম জীবনে বেড়ে ওঠা, মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরাসহ নানা ঘটনা তুলে ধরেন।