নদী রক্ষায় বড় সংকট এখন প্লাবন ভূমি দখল। কীর্তনখোলা, কর্ণফুলী, গোমতী, বুড়িগঙ্গাসহ আট নদীর এই এলাকা দখল করে উঠেছে ১২ হাজার ৩১২টি স্থাপনা। এতে বর্ষায় ব্যাহত হচ্ছে পানি প্রবাহ, তীব্র হচ্ছে বন্যা। আর এই দৌরাত্ম্যের পেছনে রয়েছে নানা পর্যায়ের প্রভাবশালীরা।
মুন্সিগঞ্জ শহরের পাশ ধরে চলা ধলেশ্বরীর দুই তীরে হয়েছে শিল্প কারখানা। ২০১৯-এ ২৫৬টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে উচ্ছেদ শুরু হলেও পরে বন্ধ হয়ে যায় সেই অভিযান। সেখানে এখন অবৈধ স্থাপনা প্রায় নয় শ।
নদী রক্ষা কমিশনের সমীক্ষা বলছে, সবচেয়ে বেশি দখল বরিশালের কীর্তনখোলায়।এরপরেই চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, কুমিল্লার গোমতী, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, তুরাগ ও পার্বত্য এলাকার বাঁকখালী সাঙ্গু, করতোয়াসহ ৮ নদী। দখলদার প্রায় এক লাখ।
সাবেক নদী কমিশনার মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘মন্ত্রীরাতো এর সঙ্গে জড়িত ছিলেনই। তাঁদের সহযোগিতা পাইনি। তাঁদের মধ্যে দুই একজন যারা নিজেদের লোকজন দিয়ে নদী দখল করিয়েছেন। আমি দুই একটা উপজেলায় গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছি। তখন শুনতে হয়েছে, আপনাকে উপজেলায় যেতে হবে না।’
গবেষকরা বলছেন, আইন অনুযায়ী নদীর সর্বোচ্চ সীমা থেকে দেড়শ ফুট পর্যন্ত প্লাবন ভূমি। অথচ এ অংশেই দখল সবচেয়ে বেশি। এতেই বাড়ছে বন্যার তীব্রতা।
বন্যা ও বাঁধ গবেষক ড. আমীর হোসাইন বলেন, নদীর প্লাবনভূমি কমে যাচ্ছে। এর কারণে নদীর ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এর কারণে বর্ষার সময় যখন অনেক পানি আসে তখন যদি নদীর ধারণ ক্ষমতা কমে যায় তাহলে স্বাভাবিকভাবে পানির উচ্চতা বাড়বে। এতে বন্যার তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে।