লক্ষিপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু পরিষদ কার্যালয়ে বসে ছিলেন। হঠাৎ তিন থেকে চারজন যুবক সেখানে এসে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলে যেতে বলেন। চেয়ারম্যান বসে কথা বলতে চাইলে তারা কথা না বলে দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে যেতে তাগাদা দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু তার কার্যালয় থেকে বের হয়ে চলে যান।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু জানান, টিসিবির পণ্য বিতরণের উদ্বোধন করে কার্যালয়ে গিয়ে বসতেই বিএনপির কিছু লোকজন এসে বলে বাহিরে চলেন কথা আছে। কী কথা এখানেই বলতে বললে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই বাহিরে গেলে তারা বলে, ‘আপনি আর ইউনিয়ন পরিষদে আসবেন না, বাসাতেই থাকবেন’। সেখানে স্থানীয় বিএনপির ফজলুর রহমান, রাজিব, সুমন এরা ছিল বাহিরে থেকে মফিজ, লাবু নেতৃত্ব দিয়েছে। এর আগে এরাই ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে পরিষদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে বলে হুমকি দিয়েছিল।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, চেয়ারম্যানরা যদি দুর্নীতি করে থাকে কিংবা অন্য অভিযোগ থাকে সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কাউকে জোরপূর্বক বের করে দেয়া উচিত নয়, এটা অন্যায়। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্যায় করে সেটা যাতে আইনিভাবে মোকাবেলা করে, আইন নিজের হাতে তুলে না নেয় এই নির্দেশনা আছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকতার জাহান সাথী বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়। ততক্ষণে চেয়ারম্যান চলে যায়। টিসিবির পণ্য সুষ্ঠুভাবে বিতরণ হয়েছে।