২০২০ ও ২০২২ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০২০ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে এবং ২০২২ সালে ঘরের মাঠে ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৮ সালে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের ঐ সিরিজে অজিদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল ইংলিশরা।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে ইতোমধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ম্যাচ জিতলেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে অজিদের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চেস্টার-লি-স্ট্রিটে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নামছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম ওয়ানডেতে ওপেনার ট্রাভিস হেডের ব্যাটিং তান্ডবে ৩৬ বল হাতে রেখে ৩১৬ রানের টার্গেট স্পর্শ করে অস্ট্রেলিয়া। ২০টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১২৯ বলে অপরাজিত ১৫৪ রান করেন হেড। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরির তুলে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের কল্যাণে দ্বিতীয় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিচেল মার্শ ও উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৭০ রানের পুঁজি পায় অজিরা। এরপর ইংল্যান্ডের ইনিংস ২০২ রানে গুটিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা।
টানা দুই সিরিজ জয়ের স্বাদ নিয়ে এবার ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে খেলতে নামে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুই ম্যাচ দাপুটের সাথে জিতে সিরিজ শুরু করেছে অজিরা। নটিংহামে প্রথম ওয়ানডে ৭ উইকেটে এবং লিডসে দ্বিতীয় ম্যাচ ৬৮ রানে জিতে নেয় স্মিথ-ম্যাক্সওয়েলরা।
সিরিজে টিকে থাকতে ব্যাটার-বোলারদের কাছ সেরা পারফরমেন্স চান ইংল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক। তিনি বলেন, ‘প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটাররা ভালো করেছে, কিন্তু বোলাররা কিছু করতে পারেনি। আবার পরের ম্যাচে বোলাররা ভালো করলেও, ব্যাটাররা জ্বলে উঠতে পারেনি। জয় পেতে হলে এক সাথে সব বিভাগেই জ্বলে উঠতে হবে আমাদের। আশা করছি তৃতীয় ম্যাচে ছেলেরা ভালো খেলবে এবং সিরিজে টিকে থাকবে।’
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ১৫৮ বার মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। এর মধ্যে জয়ের পাল্লা ভারী অজিদের। ৯০ ম্যাচ জিতেছে তারা। ৬৩ ম্যাচে জয় পায় ইংলিশরা। ২টি ম্যাচ টাই ও ৩টি পরিত্যক্ত হয়।