শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন

ইসরায়েলি নারী সেনাদের প্রতি তিনজনে একজন যৌন হয়রানির শিকার

প্রতিনিধির / ১৩ বার
আপডেট : বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি নারীদের বাধ্যতামূলকভাবে আইডিএফে দুই বছর কাজ করতে হয়। তবে কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত কারণে ছাড় দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া নারীরা বিবাহিত বা গর্ভবতী হলে কিংবা ধর্মীয় কারণে বিশেষ ছাড় পায়। তবে ইসরায়েলি ধর্মীয় সমাজের একটি ক্রমবর্ধমান গোষ্ঠী নারীদের সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে আসার এবং পরিবর্তে জাতীয় সেবার জন্য বেছে নেওয়ার পক্ষে প্রচার করছে।

তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভেতরে নারীদের নিয়ে বেশ বড় একটি সমস্যা রয়েছে। ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি নারী সৈন্যদের এক-তৃতীয়াংশ তাদের বাধ্যতামূলক সেবাদানকালে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। একটি স্টেট কম্পট্রোলারের রিপোর্টে দেখা গেছে, যৌন হয়রানির শিকার হওয়া নারী সৈন্যদের অর্ধেকেরও কম এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ বলেছেন, তাদের অভিযোগ সঠিকভাবে দেখা হয়নি এবং ২৬ শতাংশ বলেছেন, তাদের অভিযোগ আদৌ দেখা হয়নি। শুনতে খারাপ লাগলেও ইসরায়েলের পুরুষ শাসিত সেনাবাহিনীতে এমনটা মোটও অস্বাভাবিক নয়।

গত বছর ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোহাভি যৌন হয়রানির ঘটনাগুলোর নিন্দা জানিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি সেনাবাহিনী থেকে তা নির্মূল করবেন। তখন কোহাভি বলেন, যেকোনো যৌন আক্রমণ, কথায় বা কাজে, মানবিক মর্যাদার ওপর আঘাত এবং সেনা প্রোটোকলের গুরুতর লঙ্ঘন।

এ সময় ভবিষ্যতে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটলে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। তবে তার প্রতিশ্রুতির পরের বছরেও পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ