খাগড়াছড়িতে দুই পর্যটক ও তাদের গাড়ি চালককে অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় রাঙামাটি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইমতিয়াজ রিয়াদের নামে এসেছে। একটি ব্যাংক একাউন্টের সূত্র ধরে তার নাম আসে।
এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দীঘিনালায় থানা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী এসএম নাহিদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৮ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে সাজেক থেকে ফেরার পথে দীঘিনালার জামতলী এলাকায় পৌঁছালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কিছু অচেনা ব্যক্তি পর্যটকদের ব্যক্তিগত গাড়ির গতিরোধ করে। পরে রাস্তা থেকে একটু ভেতরে পার্শ্ববর্তী করাত কলের পাশে নিয়ে মোবাইলফোন ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নেয়। এসময় পকেটে থাকা ভুক্তভোগীরা ১০ হাজার টাকা অপহরণকারীদের হাতে দেয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ফোন, পরিচয়পত্র ও টাকা দেওয়ার পরও পর্যটকদের মারধর করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। এত টাকা দিতে অসম্মতি জানালে অন্তত ২০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে একটি ব্যাংক একাউন্ট দেয়। অপহরণকারীদের দেওয়া ব্যাংক একাউন্টটি ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) চন্দনাইশ শাখা। ব্যাংকের একাউন্টটি সাবেক ছাত্রলীগ আহমেদ ইমতিয়াজ রিয়াদের নামে।’
বাদী উল্লেখ করেছেন, ‘বিষয়টি আমার এক স্বজনকে (মামা) জানায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারকে অবগত করে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা টের পেয়ে অপহরণকারীরা দুপুর দেড়টার দিকে আমাদের ছেড়ে দেয়। জিম্মিদশা থেকে বেরিয়ে আমরা দ্রুত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চলে আসি।’
এর আগে গতকাল খাগড়াছড়ি পুলিশের সুপারের কক্ষে ভুক্তভোগীরা মোবাইলফোনে ইমতিয়াজ রিয়াদের ছবি দেখিয়ে বলেন ‘এই ভদ্রলোক’ আমাদের খুব নির্যাতন করেছে। তিনি আমার মোবাইলে তার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর টাইপ করে আমার আত্মীয়কে পাঠিয়েছে। ব্যাংক একাউন্ট নম্বরের সূত্র ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে তার ছবি আমরা পেয়েছি’।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, ‘মামলাটি রের্কড হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মূল ঘটনা জানার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এরপর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’