বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিংগাইর উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর বায়রা খেয়া ঘাট এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। বায়রা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মো. সাজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. সাজাহান বলেন, সকালে খেয়া ঘাটের থেকে একটু সামনে বড় বড়শি দিয়ে নদীর দুপাশে থেকে টানার একপর্যায়ে মেয়ে রাফার জামায় বরশি আটকে গেলে তাকে ওপরে তোলা হয়। এর কয়েক হাত দূরে মহিদুরের মুখে বড়শি আটকে গেলে তাকেও উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বাড়ির সামনে বায়রা খেয়া ঘাটের ধলেশ্বরী নদীতে মহিদুর রহমান তার মেয়েকে সাঁতার শেখাতে যান। এ সময় মেয়ের শরীরে ৫ লিটারের দুটি খালি বোতল বেঁধে মেয়েকে সাঁতার কাটতে নদীতে ছেড়ে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর বোতলের মুখ খুলে পানি ঢুকলে তলিয়ে যায় রাফসা। পরে মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিখোঁজ হন বাবা মহিদুরও। ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সদস্যরা বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সারাদিন চেষ্টা চালিয়েও উদ্ধার করতে পারেনি।