গেল কয়েক মাস ধরে অস্থিরতা চলছে পোশাক খাত ঘিরে। দফায় দফায় আলোচনার পর অবশেষে শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে খোলা হয় কারখানা। তবে, দীর্ঘদিন ধরে চলা জ্বালানি সংকট ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে এসব দাবি পূরণে কতোটা প্রস্তুত মালিকপক্ষ, প্রশ্ন উঠেছে সেসব নিয়ে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) -এর সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল রাকিব বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ে সব সময়ই শ্রমিকদের পাশে থাকবে মালিকপক্ষ। তবে, রাজনৈতিক প্ররোচণা ও বহির্বিশ্বের ইন্ধনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ফল ভোগ করবে সবাই।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি বলেন, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের যেকোন ন্যায্য দাবি আমরা অতীতেও সমাধান করেছি এখনও করবো। আমরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই।
বছর খানেকের কম সময় আগে ঘোষণা করা হয় এই খাতের ন্যূনতম মজুরি। যা মেনেও নেয় দু’পক্ষ। যদিও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি সব কারখানা। কিন্তু এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে আবারও কেনো এতো দাবি নিয়ে মাঠে শ্রমিকরা?
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় এগুলো যৌক্তিক দাবি। যা বাস্তবায়নে মালিকদের পাশাপাশি ক্রেতাদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে ।
বিজিএমইএ’র তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের নূন্যতম বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করতে না পেরে বন্ধ হয়েছে ২০৬টি কারখানা। এছাড়া, পোশাক বা পণ্যের দামও বাড়াননি বিদেশিরা। ফলে, গেলো এক বছরে বাড়তি চাপে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।