দূরপাল্লার শক্তিশালী ‘কামিকাজে ড্রোন’ কিনতে যাচ্ছে ভারত। গত শুক্রবার এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর আর্টিলারি বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অদোশ কুমার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনী ব্যাপক নাস্তানাবুদ হয়েছে কামিকাজে ড্রোনের কাছে। তুরস্কের কাছ থেকে এই অত্যাধুনিক ড্রোন পেয়েছিল ইউক্রেন। সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কামিকাজে ড্রোনের কাছে ধরাশয়ী হয়েছে রাশিয়ার অত্যাধুনিক টি-৭২, টি-৯০ ট্যাংক বহর।
সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, লাখ লাখ ডলার মূল্যের ট্যাংকগুলো ধরাশায়ী হচ্ছে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের ড্রোনের কাছে। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংকের উপযোগীতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার এমন পরিস্থিতি দেখে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের যুদ্ধাস্ত্রনীতিতে পরিবর্তন আনছে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘কামিকাজে ড্রোন কেনার পাশাপাশি পিনাকা রকেটের পাল্লা বৃদ্ধির কাজও শুরু দিয়েছে ডিআরডিও। এমনিতে পিনাকা মার্ক ১-এর সর্বাধিক পাল্লা ৪০ কিলোমিটার এবং পিনাকা মার্ক ২-এর সর্বাধিক পাল্লা ৯০ কিলোমিটার। ওই রকেটের পাল্লা আরও বাড়িয়ে ৩০০ কিলোমিটার করা হচ্ছে।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল অদোশ কুমার বলেন, দূরপাল্লার ‘নির্ভয়’ এবং ‘প্রলয়’ ক্ষেপণাস্ত্রও সেনায় অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নির্ভয় এবং প্রলয়কে সেনায় অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল।
হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্ভয় ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার এবং প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।
এ ছাড়াও শব্দের চেয়ে দ্রুত গতির ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েও কাজ শুরু করেছে ডিআরডিও। গোটা বিষয়টিকে ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের সাফল্য হিসেবে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।