চট্টগ্রামে তেলবাহী এমটি বাংলার জ্যোতি জাহাজে বিস্ফোণের কারণ হিসেবে জাহাজের ফোর পিক স্টোরে জমা হওয়া অতিরিক্ত পরিমাণে দাহ্য গ্যাস থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ৯ নম্বর ডলফিন জেটি ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এতে এক নাবিক সহ তিন জন নিহত হন। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে বিপিসির গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গতকাল রাতেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ ও বিদ্যমান লাইটার জাহাজ দুইটির ব্যবহারের উপযুক্ততা নির্ধারণের লক্ষ্যে একটি কারিগরী কমিটি গঠনের জন্য বিএসসিকে অনুরোধ করা হয়েছে। একইসাথে বিএসসির লাইটার জাহাজ এম.টি. বাংলার জ্যোতি ও এম.টি. বাংলার সৌরভ ব্যবহার করে ক্রুড অয়েল লাইটারিং কার্যক্রম পরিচালনা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমদানি ক্রুড অয়েল খালাসের জন্য সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন অবিলম্বে চালু করা প্রয়োজন বলে সুপারিশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। এ ছাড়া জেটিসমূহে থাকা অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাদি আরও আধুনিকায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাজটিতে থাকা ১০ হাজার ৯১৬ দশমিট ৮৪৬ মেট্রিক টন কার্গো নিরাপদে রয়েছে। কার্গো খালাস সম্পন্ন করতে প্রায় ২২ ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হবে। কার্গো খালাস সম্পন্ন করা হলে জাহাজটি মেরামত বা সংস্কারের উদ্দেশ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে। জাহাজে থাকা অবশিষ্ট কার্গো খালাসের লক্ষ্যে জাহাজের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রতিনিধি পরিদর্শনের পর নিরাপদ ঘোষণা করলেই কার্গো খালাসের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।