কয়েকদিন ধরেই পুরো লেবাননে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। প্রথমবার রাজধানী বৈরুতেও হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহের হামলায় নিহত ছাড়িয়েছে ৭০০ জন। বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। এ অবস্থায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে লেবাননে থাকা প্রবাসি বাংলাদেশিরা।
দক্ষিণ লেবানন থেকে বৈরুতে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে। সব ফ্লাইট বন্ধ থাকায় দেশেও ফিরতে পারছে না তারা।
আতঙ্কিত এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘আমার মাথার উপর দিয়ে যে কত বোমা মারছে, তিন–চারটা বিল্ডিং গুড়া অইয়া গেছেগা।’
সন্তানসহ নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া বাংলাদেশি এক প্রবাসী নারী বলেন, ‘গতকাল থেকে এইরকমভাবে বোমা বর্ষণ হইছে, সবকিছু বন্ধ। আমরা টাকা দিয়ে যে কিছু ক্রয় করব, তারও উপায় নাই।’
আরেক নারী ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘যেভাবে সম্ভব আমাদের দ্রুত বাংলাদেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমরা খুব সমস্যার মধ্যে আছি। যুদ্ধ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।’
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘যদি আপনারা সরকারিভাবে সাহায্য করতে পারেন, আমাদের প্রবাসীদের বাঁচান। আর আমাদের দেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।’
ইসরাইলি হামলায় এরই মধ্যে আহত হয়েছেন নারীসহ তিন বাংলাদেশি। দুজন হাসপাতালে ভর্তি। তবে, প্রবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর দূতাবাস।
বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘তিনজন আহত আছে। আমরা তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। চিকিৎসা সহায়তা করছি। বাংলাদেশিরা বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যাটা দুই হাজারের বেশি।’
নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের আহ্বান জানিয়েছেন বৈরুতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান। তিনি বলেন, ‘দূতাবাসের পক্ষ থেকে লেবাননে চলমান পরিস্কিতির ভয়াবহতা এবং উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিপৎগ্রস্থ প্রবাসী ভাইবোনদের প্রয়োজন সম্পর্কে নিয়মিতভাবে ঢাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।’