লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধের তীব্রতা আরও বেড়েছে। দু পক্ষই সমানতালে হামলা চালাচ্ছে। লেবাননে সর্বশষ হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন, তবে ইসরায়েলে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে আজ বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। হামলা–পাল্টা হামলার খবরের মধ্যেই অবশ্য লেবাননে যুদ্ধ করতে গিয়ে আট ইসরায়েলি সেনা নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন বলছে, ,কেন্দ্রীয় বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতে বিবিসির সাংবাদিকরা বৈরুতে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ শহরতলিতে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি দাহিহেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। লেবাননের কর্মকর্তারা বলেছেন, অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।
বিবিসি লিখেছে, ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দাদের বাড়ি ফিরে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণ লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের দিকে ২৪০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ইসরায়েলে রকেট হামলা অব্যাহত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকালজুড়ে উত্তর ইসরায়েলে অন্তত চারটি এলাকায় সতর্কীকরণ সাইরেন বেজেছে।
কয়েক দিনের বিমান হামলার পর গত মঙ্গলবার লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে সীমান্তবর্তী এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ওই অভিযান শুরু হয়।
লেবাননে ইসরাইলের নতুন অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নর্দান অ্যারোস’। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, হামলাটি চালানো হচ্ছে স্থল ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শাসক গোষ্ঠী হামাস আর ইসরায়েলের যুদ্ধে হামাসকে সমর্থন দিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর সংঘাতের এটিও একটি কারণ। একই সূত্রে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইরান।