শিরোনাম:
Покердом – официальный сайт для игры в покер и онлайн-казино в России রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ গণঅভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের চরিত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চেয়ে একটি ভিন্ন জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ ট্রাম্পকে সম্মান জানিয়ে ভারতে বিভিন্ন শহরের ছয়টি ট্রাম্প টাওয়ার তৈরি হচ্ছে কুয়েতে নাগরিকত্ব বাতিল প্রক্রিয়া চলছে বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো নিয়ে রিজভী বিপক্ষ নিলেন নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতার কারাগারে মৃত্যু বেক্সিমকো ফার্মায় রিসিভার বসানো হবে না
মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ অপরাহ্ন

নদীর পাড় ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ শেরপুরে

প্রতিনিধির / ১৬ বার
আপডেট : শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

শেরপুরে টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিনটি উপজেলার দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও নদীর পাড় ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় পানি বন্দি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

শুক্রবার সকাল থেকে পাহাড়ি ঢলে শেরপুর চারটি নদীতে পানি বাড়তে থাকায় এই বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে অনেকের বাড়ি-ঘর পানিবন্দি হয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। এখনো ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার অনেক মানুষ নিরাপদ স্থানে যেতে পারেনি।

পানিবন্দিদের উদ্ধার কাজে অংশ নেন ঝিনাইগাতী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মী, জনপ্রতিনিধি, স্কাউট সদস্য ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। এছাড়াও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিজিবি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মহারশীর বাঁধ ভেঙে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ঝিনাইগাতী, রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, বনকালি, চতল ও আহম্মদ নগর, ধানশাইল ইউনিয়নের ধানশাইল, বাগেরভিটা, কান্দুলী, বিলাসপুর ও মাদারপুর এবং কাংশা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর চরণতলা, আয়নাপুর, কাংশাসহ প্রায় দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়।

বৈরাগীপাড়া এলাকার বাসিন্দা রহমান মিয়া বলেন, ‘সবাই বেড়াতে যাওয়ায় আমার বাড়িতে আমি একাই ছিলাম। শুক্রবার ভোরে হঠাৎ বন্যার পানিতে আমি আটকা পড়ি, ঘরের খাটও পানিতে ডুবে ছিল। সন্ধ্যার আগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কাউট সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে।

রামেরকুড়া এলাকার জমির আলী বলেন, ‘বন্যার পানিতে আমরা খুবই বিপদে পড়েছিলাম। পানির স্রোতে মনে হচ্ছিল বাড়ি ভেঙে নিয়ে যাবে। বিকেলে আমাদের সবাইকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।’

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, এই দুর্যোগে সবাইকে নিয়েই আমরা কাজ করছি। স্বেচ্ছাসেবীরা দুর্দান্ত কাজ করছেন। আমরা এক সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। ইতিমধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমাদের এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারবো।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ