আওয়ামী লীগ যেন নির্বাচনে কোনোভাবে অংশ নিতে না পারে, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে দলটির আমির মুফতি রেজাউল করিম। সেই সাথে জুলাই-আগষ্ট হত্যাকান্ড জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবিও জানান তারা।
শনিবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে তৃতীয় দফায় রাজনৈতিক দলের সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ‘এই দেশে ৫ আগস্ট হয়েছে বহু রক্তের বিনিময়ে, আপনারাতো জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশ পরিচালনা করতেছেন। আপনাদের তো কোনো দুর্বলতা নেই, তাহলে কেন যারা নাকি খুনি, দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী তারা কিভাবে দেশ থেকে পালালো এটা আমাদের বোধগম্য না। এতে আপনাদের দুর্বলতায় প্রকাশ পেতে চায়। বিধায় আপনারা খুনি, দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারীদের অপরাধ অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা নিবেন।’
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘খুনি, দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী ফ্যাসিস্টরা যেন বাংলাদেশে নির্বাচন করার সুযোগ না পায়। এছাড়া ৬ কমিশনের পরেও দেশ সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য আরও কমিশন বাড়াতে প্রস্তাব দিয়েছি আমরা।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে তৃতীয় দফায় সংলাপ করতে বিএনপি ও জামায়াতের পর বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আসেন গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ও এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতারা। পর্যায়ক্রমে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে অংশ নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম ও গণ অধিকার পরিষদসহ বাকি রাজনৈতিক দলের নেতারা। আওয়ামী লীগ যেন নির্বাচনে কোনভাবে অংশ নিতে না পারে, সে বিষয়ে প্রধান উদেষ্টার কাছে দাবি জানিয়েছে তারা। সেই সাথে জুলাই-আগষ্ট হত্যাকান্ড জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবিও জানান তারা।
বিকেলে ৫টা থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে দফায় দফায় বৈঠক। পরে বৈঠক শেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জানান, রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি গার্মেন্টস খাতের অস্থিরতা তুলে ধরা হয়েছে। ফ্যাসিবাদ সরকার যাতে ফিরতে না পারে সেটিরও আহবান জানানো হয়েছে।
নির্বাচনের রোড ম্যাপ চেয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, গনঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ইসলামি দল। তবে, নির্বাচনের আগে সংস্কারের পাশাপাশি পোশাক শিল্পখাত ও জনগনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দিকে জোড় দেয়ার আহবান তাদের। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপে এ আহ্বান জানান তারা।
তারা জানান, রাজনৈতিক দল গুলো সাথে সরকারের নিয়মিত বৈঠকের জন্য একটি কাঠামো তৈরির কথাও তুলে ধরা হয়েছে। হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এদিকে আজকের সংলাপে ছিলো না জাতীয় পার্টি।