বছর ঘুরে কিন্তু থামে না অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণা। এসব এজেন্সি বিদেশে ভালো চাকরি ও বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে নিঃস্ব করে চলেছে বিদেশ যেতে আগ্রহী অনেককে। সরকারের দুর্বল নজরদারিতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এজেন্সিগুলোর আছে অনলাইন- অফলাইন ফাঁদ। এদেরই একজন নারায়ণগঞ্জের স্কুল শিক্ষিকা রোকেয়া আক্তার।
অস্ট্রেলিয়ার অভিজাত হোটেলে লাখ টাকা বেতনের চাকরির আশায় তিনি মায়ের একমাত্র জমি বেচে সংগ্রহ করেন বিদেশ যাওয়ার টাকা। তাকে দিয়ে খোলানো হয় একটি ব্যাংক একাউন্ট, দেয়া হয় ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট। ফলে সেই আশায় গুড়ে-বালি পড়ে। বর্তমানে একটি ট্রাভেল এজেন্সিকে ৮ মাস আগে সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিয়ে এখন চেক জালিয়াতির মামলার আসামি তিনি এবং তার পরিবার।
মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কীভাবে দিনের পর দিন প্রতারণা করছে এসব প্রতিষ্ঠান? এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিএমইটি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- এদের প্রতিনিয়ত এ বিষয়গুলো মনিটর করা দরকার। আমাদের দেশের পাশাপাশি যেসব দেশে এই ধরণের অবৈধ চক্রগুলো কাজ করে সেইসব দেশের দূতাবাসগুলোরও অনলাইনে চেক করা উচিত।
একটি টাস্কফোর্সের মাধ্যমে অনুমোদনহীন ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পরামর্শ এই বিশ্লেষকের।