১৫ বছরে দেশের সড়ক-মহাসড়কে উন্নয়ন প্রকল্পে ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে টিআইবি। রাজনীতিক-আমলা-ব্যবসায়ী তিন পক্ষের আঁতাতে হয় এসব দুর্নীতি। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২৯ হাজার কোটি টাকা থেকে ৫১ হাজার কোটি।
আজ বুধবার সকালে ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে, জড়িতদের বিচারের তাগিদ দেয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সড়ক-মহাসড়কে উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে সাবেক সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর প্রশ্ন-উত্তর পর্বের আয়োজন করে টিআইবি।
২০২৩ সালের জুন থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সংস্থাটি। সড়ক ও জনপথের ২১টি কর্ম এলাকা থেকে প্রকল্পের ধরন, বরাদ্দ, মেয়াদ এবং শেষ হওয়া ২৫টি প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করা হয়।
বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পের দুর্নীতিতে বিদেশি পক্ষের ব্যর্থতা ও যোগসাজশ স্বাভাবিক-মনে করছে টিআইবি। দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে জড়িতদের বিচারের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটির।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে- এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। যারা অনিয়ম দুর্নীতে জড়িত ছিলেন তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়িক শক্তিকে ত্রিপক্ষীয় আঁতাত হিসেবে চিহ্নিত করে টিআইবি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি প্রতিরোধে ত্রিপক্ষীয় আঁতাত ভাঙতে হবে। সেটাই আমাদের অন্যতম পরামর্শ। এই খাতে বা অন্য যেকোনো খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে এই ত্রিপক্ষীয় আঁতাত ভাঙতে হবে। এর সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ’
২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দেশে উন্নয়ন হলেও, স্বচ্ছ-দুর্নীতিমুক্ত হলে, রাষ্ট্রের ব্যয় অনেক কমানো যেতো-বলছে টিআইবি। সেইসাথে প্রকল্পের কাজ হতো আরো মানসম্পন্ন।