পটুয়াখালীর বাউফলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কন্যা শিশুকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের তীর উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মৃধার বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে। তিনি সাবেক সেনা সদস্য ও ইউনিয়ন মৎসজীবী দলের সভাপতি। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ অভিযোগে বাউফল থানায় মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। পরিবারের বিভিন্ন বাজারের জন্য আনোয়ারের দোকানে যেতো শিশুটি। হঠাৎ একদিন আনোয়ার শিশুটিকে জোর করে জাপটে ধরেন। এ সময় ওই শিশুটি চিৎকার করলে তাকে চরথাপ্পড় দেয় আনোয়ার। অভিযুক্ত প্রায়ই এ শিশুকে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব কাউকে বললে ক্ষতি হবে বলেও ভয় দেখায় অভিযুক্ত আনোয়ার।
দীর্ঘদিন এভাবে চলার পরে মানসিকভাবে অসুস্থ পড়ে ভুক্তভোগী শিশু। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলেও চিকিৎসক কোনো রোগ চিহ্নিত করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে চিকিৎসক পরামর্শ দেন, শিশুটির সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলে তার সমস্যা জানতে। পরে সে তার বড় বোনের কাছে নির্যাতনের বিষয়টি খুলে বলে।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রথমে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। সে আতঙ্কিত ছিল। ধীরে ধীরে শিশুটি নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ার হাওলাদার মুঠোফোনে যমুনা নিউজকে বলেন, তিনি ওই মেয়েকে চেনেনই না।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামি পলাতক আছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত আনোয়ার হাওলাদার মাস ছয়েক আগে, তার দোকানের আইসক্রিম চুরি করে খাওয়ার অপবাদে তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করার অপরাধেও গ্রেফতার হয়েছিলেন।