শিরোনাম:
গাইবান্ধায় দেয়াল কেটে একটি স্বর্ণ দোকানে ৮০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করেছে দুর্বৃত্তরা পুকুর খনন করতে গিয়ে রাইফেল বুলেট উদ্ধার আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ২৬ জেলাকে ফেরত এনেছে বিজিবি নৈতিক শিক্ষার অভাবেই ধর্ষণ নির্যাতন বাড়ছে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিবে জাতিসংঘ জাতিসংঘের মহাসচিব এর সাথে বিএনপি নেতাদের সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি সভা ডেকে ঘুষের পরিমাণ কত রাখা হবে তা জানিয়েছে কক্সবাজারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সমন্বয়ক এর বাবাকে খুন দামেস্কে ইজরায়েলের বিমান হামলা মালয়েশিয়ায় ৪ বাংলাদেশি এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ, একই আঙিনায় মসজিদ-মন্দির

প্রতিনিধির / ৩৯ বার
আপডেট : শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় ৫২ বছর ধরে একই আঙিনায় রয়েছে মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ ও মন্দির। পাশাপাশি চলছে নামাজ ও পূজা। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এটি। উপজেলার চৌধুরী বাড়ির আঙিনায় এভাবেই দেখা মেলে অসাম্প্রদায়িক বন্ধনের।

জানা যায়, চৌধুরী বাড়িতে ৯২ বছর আগে বাংলা ১৩৩৯ সালে ওঝা ঠাকুর ও হরনাথ স্মৃতি কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করে শ্রী পরেশ চন্দ্র ও শৈলেশ চন্দ্র দাসয়ো। মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪০ বছর পর একই আঙিনায় নির্মাণ করা হয় নাগরপুর চৌধুরী বাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মন্দিরে চলছে পূজা-অর্চনা, উলুধ্বনি ও ঢাকের বাজনা। পূজারি ও দর্শনার্থীরা প্রতিমা দেখতে এবং পূজায় অংশ নিতে আসছেন। নির্ধারিত সময়ে আজান শুরু হওয়ার আগেই ঢাকঢোল, মাইক ও বক্সের বাজনা বন্ধ করে দেয়া হয়। মসজিদ থেকে ভেসে আসে আজানের সুর। এরপর মুসুল্লিরা আসতে শুরু করেন মসজিদে। নামাজ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর আবার বেজে ওঠে মন্দিরের ঢাকঢোলের বাজনা।

স্থানীয় অনিল বলেন, আমরা ৫২ বছর ধেরে এখানে পূজা করছি। পাশাপাশি মসজিদ ও মন্দির। এতে আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। মুসলিম ধর্মের মানুষ আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে। আমরাও নামাজ ও আজানের সময় পূজা বন্ধ রাখি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান সোহেল বলেন, আমি মসজিদ ও মন্দির জন্মের পর থেকেই দেখছি। সনাতন ধর্মের লোকজন এখানে পূজা করেন। এখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা তাদের সহযোগিতা করি। আমরা সবসময় লক্ষ্য রাখি যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।

মন্দির কমিটির সভাপতি লিটন কুমার সাহা পোদ্দার বলেন, এই মন্দির বহু বছরের পুরোনো। পাশেই মসজিদ। হিন্দু-মুসলমান আমরা যার যার ধর্ম পালন করি। মুসলিম ভাইয়েরা আমাদের সহযোগিতা করেন। আজ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আশা করি কখনো ঘটবেও না।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দীপ ভৌমিক জানান, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এর একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত চৌধুরী বাড়ি। একই আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির। তারা নামাজের সময় নামাজ আদায় করছে, পূজার সময় পূজা উদযাপন করছে। বিগত বছরের মতো এবছরও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হচ্ছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ