বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ অপরাহ্ন

হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পান্না

প্রতিনিধির / ১৪ বার
আপডেট : রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪

আমি একইসঙ্গে আনন্দিত এবং দুঃখিত, কিছুটা হতাশও। আমাকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি করা হয়েছে কিন্তু ১ নম্বর না করে ৯৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এতে আমি অপমানিত বোধ করছি।

গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলামকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে রোববার (২০ অক্টোবর) চ্যানেল 24-কে এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন জেড আই খান পান্না।

তিনি আরও বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও হত্যাটা করতে পারলাম না, সেটা মিস হয়ে গেল। এটা তো দুঃখজনক।

প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, আমি নাকি ১৯ জুলাই হত্যাচেষ্টা করেছি। কিন্তু তখন তো আমি কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে, তারাও ছিলো আমার সঙ্গে। আইন প্রাঙ্গণে আমি তখন তাদের জন্যে আইনি লড়াই লড়ছিলাম। কিন্তু সে সময় কিভাবে আমি মেরাদিয়া নামক জায়গায় গেলাম হত্যাচেষ্টা করলাম সেটা বুঝলাম না।

কি কারণে এই মামলা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা বোঝা যায় যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করার কারণে হত্যা মামলার আসামি করা হতে পারে। নাহলে কারও সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। এখন আইনি সমাধানেই যাবো।

উল্লেখ্য, জেড আই পান্না সহ ১৮০ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। গত ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আহাদুলসহ অন্যরা মেরাদিয়া বাজারের কাছে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন নাম না জানা বিজিবি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অন্য আসামিদের নির্দেশে গুলি চালায়। এ সময় আহাদুল গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে থাকা আসামিরা তাকে মারধরও করে। পরে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলায় বিজিবির বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকেও আসামি করা হয়েছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ