গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া এক ফিলিস্তিনি বিবিসিকে বলেন, ১৫ বছর আগে মে মাসে তিনি তার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তার সেই বাড়িতেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
আশরাফ আবু তাহা বলেন, ইসরায়েলের ড্রোনের ফুটেজ প্রকাশের পর ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনটি দেখে তিনি স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। বাড়িটি দক্ষিণ গাজার রাফার ইবনে সিনা রোডে অবস্থিত।
ইয়াহিয়া সিনওয়ার, যিনি গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার অন্যতম মহানায়ক। গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় তিনি নিহত হন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ড্রোন ফুটেজে দেখা যায় সিনওয়ার নিহত হওয়ার আগে একটি আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
আবু তাহা বিবিসি অ্যারাবিককে বলেন, রাফার খান ইউনিসে যখন ইসরায়েল বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার জন্য বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়, তখন ৬ মে তিনি বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েন। এরপর থেকে তিনি তার বাড়ির আরো কোনো খবর রাখেননি।
তাহা বলেন, সিনওয়ারের মৃত্যুর আগের শেষ মুহূর্তের ভিডিওটি যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তখন তার মেয়ে সেটি তাকে দেখায়। যেখানে তাদের বাড়িটিকে দেখা গেছে। তবে তিনি বিশ্বাস করেননি, শেষ পর্যন্ত তার ভাই জানান, বাড়িতে তাদের।
তাহা বলেন, এরপরই বিশ্বাস করেছি যে বাড়িটি আমাদের। তবে ধারণা করতে পারছি না কেন সিনওয়ার সেখানে গেলেন।
ভাইয়ের সহযোগিতায় ৪১ হাজার ৪০০ ইউরো দিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন তাহা। যখন তিনি বাড়িটি ছেড়ে আসেন তখন এটি পুরোপুরি ভালো ছিল।