শিরোনাম:
বগুড়া সরকারি পলিটেকনিকের মূল গেটে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অপসারণের দাবিতে কুয়েটে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন গাইবান্ধায় টিসিবির পণ্য এক ব্যবসায়ীর গোডাউন থেকে জব্দ করা হয়েছে গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধের উপায় জানালেন মার্কিন ধুত হামাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে পুতিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান বৈঠকের আগে তেহরান সফরে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিশ্ববাজারে বেড়েছে তেলের দাম ইরানে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে আদেশ দিয়েছেন ইজরাইলের বিরোধীদলীয় নেতা ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান বাংলাদেশে
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজদের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়

প্রতিনিধির / ৫৭ বার
আপডেট : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪

রূপগঞ্জে গাজী টায়ারসে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ বলে যাদের নাম আসছে তারা কেউ কারখানাটির শ্রমিক বা কর্মচারী নয় বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘গাজী টায়ারসে আগুন : প্রতিবেদনেও নিখোঁজ ১৮২, ধামাচাপার অভিযোগ’ শীর্ষক সংবাদটি জেলা প্রশাসন নারায়ণগঞ্জের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজদের বিষয়টি ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। কারণ জেলা প্রশাসনের গঠিত ৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রতিবেদনেও নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয় এসেছে। নিখোঁজ হিসেবে যাদের নাম তদন্তে এসেছে তারা কেউ কারখানার শ্রমিক বা কর্মচারী নয়।

গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি রূপগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ২৫ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিন রাতেই একদল দুর্বৃত্ত কারখানাটিতে ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর এতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় কারখানাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘গাজী টায়ারস কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে জানিয়েছেন তাদের কোন শ্রমিক কর্মচারী নিখোঁজ নেই। কারণ ৫ আগস্টের পর কারখানা বন্ধ ছিল। এছাড়া নিখোঁজ হিসেবে যাদের নাম এসেছে তাদের অনেকে দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা এবং অনেকের ঠিকানা অসম্পূর্ণ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এবং নিখোঁজ ব্যক্তিগণ কী কারণে গাজী টায়ারসে গিয়েছিল সামগ্রিক বিষয়াবলি পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে। একই সাথে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্যাদিও পুলিশ যাচাই-বাছাই করছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গত ২৫ আগস্ট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পাঁচ দিন পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে বিধ্বস্ত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস একাধিক বার চেষ্টা করেও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি। পরবর্তীতে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিধ্বস্ত ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে অভিমত দেন। এ কারণে সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও গণশুনানি চলাকালীন গত ১ সেপ্টেম্বর, বিধ্বস্ত ভবনের ভেতর থেকে দুটি মাথার খুলি ১২ টির মতো হাড়গোড় পাওয়া যায়, যা ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের পক্ষ থেকে নিখোঁজের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা পুলিশ তদন্ত করছে এবং তদন্তের মাধ্যমে অচিরেই নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে । সুতরাং অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়টি আদৌ সঠিক নয়।’

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ