স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) পদে সদ্য নিয়োগ পেয়েছেন ডা. এবিএম আবু হানিফ। গত একমাস এ পদেই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এতদিন কেউ বিরোধীতা না করলেও নিয়মিত হওয়ার পর তারই বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ড্যাব)।
পরিচালকের পাশপাশি লাইন ডিরেক্টরদের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেছেন ড্যাব সমর্থকরা। তবে তাদের এই তথ্য একেবারেই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলছেন নতুন এই পদে নিয়োগ প্রাপ্তরা।
রোববার (২০ অক্টোবর) সারাদিন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে ড্যাব থেকে `স্বৈরাচারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেন। সমাবেশে ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ডিজি শাখাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দেখা গেছে। তাদের নিয়মিত অবস্থানে কার্যত স্থবির হয়ে ছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সমাবেশে ড্যাবের চিকিৎসকরা বলেন, আমরা চাই এ সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অপসারণ করা হবে। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মদদপুষ্ট কোনো চিকিৎসককে সুবিধা নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যরা শপথ ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) ডা. খায়রুল ইসলাম৷ তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। আর চিকিৎসকদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন ড্যাব৷ তাদের বাদ দিয়ে আপনারা কার্যক্রম চালাতে পারবেন না।