শিরোনাম:
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়ি চালক মালেককে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত টেকনাফে নাফ নদীতে ডুবে যাওয়া নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক গ্রেফতার গাজীপুরে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা টঙ্গীতে বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে ডিবি পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে অপহরণকারীরা গণমাধ্যম সংস্কারে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবগুলো কার্যকর নেবে সরকার বাজেটে কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা বাতিলের চেষ্টা করতে হবে ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে বাজার সামলাতে বিভিন্ন দেশ থেকে ডিম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৪ অপরাহ্ন

রাষ্ট্রপতিকে পদচ্যুত করার দাবি বৈষম্যবিরোধীদের

প্রতিনিধির / ৪৮ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

এ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদচ্যুত করার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক গণজমায়েতে এ দাবি জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে এ গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দাবি ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে এ সপ্তাহের মধ্যে পদচ্যুত করতে হবে। অভ্যুত্থান ও জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের আলোকে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে প্রোকলেমশন অব রিপাবলিক ঘোষণা করতে হবে। এবং সেটির ভিত্তিতে এবং বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক বলয়ের মতের ভিত্তিতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।’

আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত সবশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার দাবিও জানান হাসনাত। তিনি বলেন, ‘গত যে তিনটি নির্বাচন ছিল ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন, এই তিনটি নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এই তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে যারা সংসদ সদস্য ছিল তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তারা যেন ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক হতে না পারে এবং নির্বাচন অংশগ্রহণ না করতে পারে এজন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা পুরো দেশের ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, আবার যদি প্রয়োজন হয় আমরা চোখ দিতে প্রস্তুত, হাত দিতে প্রস্তুত, পা হারাতে প্রস্তুত, রক্ত দিতে প্রস্তুত। এমনকি আমরা আবারও আমাদের জীবন দিতে পর্যন্ত প্রস্তুত। কিন্তু ওই ফ্যাসিস্টদের দোসর ছাত্রলীগ, যুবলীগ আওয়ামী লীগ নামের যে সব সন্ত্রাসীরা আমার ভাই বোনদের রক্ত ঝরিয়েছে, আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে তাদের প্রতিহত করতে আমরা আমৃত্যু প্রস্তুত থাকব।’

সম্প্রতি মানবজমিনের প্রকাশনা জনতার চোখের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে -নেপথ্যের গল্পতে প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী জানান, রাষ্ট্রপতি তাকে জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।

কথোপকথনটি একটি রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’—এ প্রকাশিত হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে গত সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দাবি করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছিলেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি সেটা গ্রহণ করেছেন। এখন আড়াই মাস পর বলছেন, তাঁর কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নেই। এমন কথা বলা স্ববিরোধিতা।’

আসিফ নজরুল দাবি করেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি) মিথ্যাচার করেছেন, যা শপথ ভঙ্গের শামিল। তাঁর বক্তব্যে অটল থাকলে তিনি পদে থাকতে পারেন কিনা তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচিত হতে পারে।’

অবশ্য সমালোচনা ওঠার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে সোমবার বঙ্গভবনের পাঠানো এক ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গত ৮ আগস্টের আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।’

রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎকার নেওয়া মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীও বলছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অসত্য কথা বলেননি।

গত সোমবার রাতে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে তিনি বলেন, ‘আসল ঘটনাটা কি সেটা জানার চেষ্টা করেছি আমি, অনেকদিন। তারপর প্রেসিডেন্ট (রাষ্ট্রপতি) সাহেবের সাথে কথা বলেছি। প্রেসিডেন্ট সাহেব যা সত্য তাই বলেছেন। এখানে ষড়যন্ত্রেরও কিছু নেই আর প্রেসিডেন্ট অসত্য কথা বলেছেন বলেও তো আমার মনে হয় না। তিনি তো পরিষ্কার বলেছেন, বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। ওই রিপোর্টেও কিন্তু তিনি নিজেই বলেছেন যে, এটা মীমাংসা হয়ে গেছে। সেটাও ছাপা হয়েছে।’

পদত্যাগপত্রের ইস্যু অন্তর্বর্তী সরকারই মীমাংসা করতে পারে জানিয়ে মতিউর রহমান বলেন, ‘যারা সরকারে আছেন তারাই তো এটার মীমাংসা করতে পারেন। তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) কাছে যদি দালিলিক প্রমাণ থাকে, তাহলে তারা সেটা সামনে আনতে পারেন। আমার ফাইন্ডিংস হচ্ছে দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই। মহামান্য রাষ্ট্রপতি এটা আমাকে বলেছেন, তার কাছে যায়নি (পদত্যাগপত্র)। কিন্তু উনি তো এটা বলেন নি যে পদত্যাগ অবৈধ, এটা ঠিক না। বঙ্গভবন থেকে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। উনি যথার্থই বলেছেন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ