শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন

লেবানন যুদ্ধের সংকটের স্থায়ী সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিনিধির / ৬১ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধের যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী সমাপ্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২১ অক্টেবার) বৈরুতে লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে আলোচনার পর এমন কথা জানান মার্কিন দূত আমোস হকস্টাইন। তবে তিনি এমন কথা বললেও এই যুদ্ধের ইতি টানার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। যদিও এই সংকটের স্থায়ী সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে আলোচনার পর হকস্টাইন ইঙ্গিত দিয়েছেন, এবারের যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধের পর গৃহীত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে হয়েছে।

ওই প্রস্তাবটি ১৭০১-এ নামে পরিচিত। সেখানে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে লিটানি নদী পর্যন্ত (উত্তরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার বা ১৮ মাইল) একমাত্র সামরিক বাহিনী হিসেবে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতি থাকবে।

হকস্টাইন বলেন, এই যুদ্ধের ইতি টানার ভিত্তি হবে প্রস্তাব-১৭০১। তবে এ সময় এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের দূরে সরে যেতে হবে।

তিনি বলেন, প্রস্তাব-১৭০১ যথাযথ ও স্বচ্ছ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, যাতে সবাই জানে যে আমরা কোন পথে আছি।

তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধকে চিরতরে শেষ করতে এবং সমৃদ্ধির নবযুগ সূচনা করতে একটি ফর্মুলা খুঁজে বের করতে লেবানন ও ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, গত মাসে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় লেবাননে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহও রয়েছেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের দক্ষিণ উপশহরে অবস্থিত হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরে ইসরায়েলি হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। পরের দিন ২৮ সেপ্টেম্বর ইরানপন্থী প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি ৩২ বছর হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অবশ্য প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে পাল্টিপাল্টি হামলা করে আসছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারা। তবে সম্প্রতি গাজা থেকে নিজেদের যুদ্ধের মূল ক্ষেত্র লেবাননে বদলি করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ বিমান হামলা করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে স্থল অভিযান।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ